জগন্নাথপুর প্রতিনিধি | বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 42 বার পঠিত
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পিংলার হাওরের কমপক্ষে ১ হাজার হেক্টর বোরো ফসল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব ফসল রক্ষায় গত দুইদিন ধরে এক প্রবাসীর অর্থায়নে ১০টি স্যালোমেশিন লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত ফসলরক্ষা বাঁধের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকরা দাবি করেছেন।
কৃষকরা জানান, উপজেলার তৃতীয় বৃহত্তম হাওর হিসেবে পরিচিত পিংলার হাওরে এবার ১১০৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। গত তিন দিনের ভারি বর্ষণে পিংলার হাওরের প্রায় এক হাজার হেক্টর বোরোধান পানিতে তলিয়ে যায়। পিংলার কাড়া বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কোন সুযোগ না থাকায় বৃষ্টির পানিতে এ ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার কাউন্সিলর পিংলার হাওরের পিআইসি কমিটির সভাপতি সফিকুল হক বলেন, পিংলার হাওরে কয়েক গ্রামের হাজারো কৃষক বোরোধান আবাদ করেছেন। ভারিবৃষ্টিতে (ডোবরার পানি) অধিকাংশ জমি তলিয়ে গেছে। গত দুই দিন ধরে জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম এ কাদিরের আর্থিক সহযোগিতায় ১০টি স্যালো মেশিন লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পানি নিস্কাশনের জন্য বাঁধ নির্মাণকালে একটি পাইপ দেওয়া হয়েছিল, সেটি কাজ না করায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবী জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা এম এ কাদির বলেন, কৃষকদের কষ্ট দেখে গেল ৪৮ ঘণ্টায় ১০টি স্যালোমেশিন লাগিয়ে পিংলার হাওর থেকে পানি কমানোর মাধ্যমে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন। তিনি পাউবোর অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের কারণে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছে উল্লেখ করে, পিংলার বাঁধে একটা স্লুইস গেট নির্মাণের দাবি জানান।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, পিংলার হাওর সরেজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের দাবির বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাউবোর প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। আশা করছি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল বলেন, উপজেলা ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও কমিটির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব। তাৎক্ষণিকভাবে প্রবাসীর উদ্যাগে স্যালো মেশিন লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
Posted ১২:০২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed