বৃহস্পতিবার ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

একজন শাহ্ মো. সফিনূর

মোজাফফর বাবু   |   রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   901 বার পঠিত

একজন শাহ্ মো. সফিনূর

মানব জীবন স্বল্প স্থায়ী। প্রকৃতি রাজ্যের অন্য সকল জীবের মত মানুষের জন্ম-মৃত্যু আছে। আর এই জন্ম-মৃত্যুর মাঝখানে ক্ষণস্থায়ী মানব জীবন।

শাসক-শোষক শ্রেণির অত্যাচার নির্যাতনে শঙ্কিত তটস্থ না হয়ে প্রাণের মায়া কাটিয়ে নির্ভীক চিত্তে সত্য সুন্দর কে প্রকাশ করায় জীবন!

যেমন মহাবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, স্টিফেন হকিং, সনেট কবি মাইকেল মধুসূদন, সাম্যবাদের মাস্টার ইমান আলী, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেক্সপিয়ার এরা প্রত্যেকে আত্মসম্মান মর্যাদা, সামাজিক পরিচিতি, আবহমান সাংসারিক বিত্তে হাসি আনন্দে উষ্ণতার মাধ্যমে জীবন পার করতে পারতেন।

কিন্তু সেটা না করে জগৎ সংসারে তথা বিশ্ব মানচিত্রে মেধা, বুদ্ধি মননে সামাজিক দায়বদ্ধতায় একটি আসন তৈরী করেছেন সেই মহান উদারতা মানব জাতির কল্যাণের পথে পৌছানোর মাইল ফলক।

শাহ মো. সফিনূরের চালচলন উঠাবসা ছিল সাধারণ মানুষের মতো। তিনি যে উঁচু দরের মানুষ তা প্রকাশ করতে অভ্যস্ত নয় নম্র বিনয়ী, মমতাময়ী।

তিনি শৈশব-কৈশোর থেকে সাহিত্য পিপাসুদের একজন তার ক্ষুরধার লেখনী আর কাব্য চর্চায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।

২০০১ সালে জগন্নাথপুরের অবস্থানের সময় “নবজাগরণ” ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশের পর আলোচনায় আসেন। সেই কিশোর —

শৈশবে সেগুন গাছের বড় পাতাটির নিচে
বসে আছে ভোরের ডাহুক পাখি।

শাহ মো. সফিনূর আমার অনুজ। তার সাথে ব্যবধান। প্রায় দুই দশকের। নব্বই দশকে আবির্ভাব হয়ে সফিনূর ভাইয়ের গল্প কবিতা গ্রন্থ লেখা আমাকে অনুরক্ত। আমি গর্ববোধ করি। আলোকিত কবি শাহানুর তার মাঝে দেশের সীমানা প্রাচীর ভেদ করে সারা বিশ্বে তার শিক্ষা প্রতিভা জ্বলজ্বল করে বিকরণ করছে।

তিনি ঘরের নয় পরের নিজের নয় দেশের তার বাচনভঙ্গির শব্দচয়ন সুশ্রী সর্বোপরি কবিতার ই মতন।
তারুণ্যের যুবক জ্বলজ্বলে এক নান্দনিক আলোকবর্তিকা। ধনঢ্য পরিবারে জন্ম হয়ে ও তিনি শৈশব থেকে সাহিত্য প্রেমিক ও মানবতাবাদী।
ভোগ-বিলাসি, আরাম-আয়েশ, জোস-খ্যাতি, আনন্দ-দুত্যি ডিজে পার্টি বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্য বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, দেশের মা মাটির জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

সুদূর প্রবাসে থেকেও শত ব্যস্ততার মাঝে লেখার বিষয়ে মনোযোগী ছিলেন। বাংলা ভাষাভাষীদের একই প্লাটফর্মে আনার জন্য “ইউএস বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম” সাহিত্য ফোরাম গড়ে তোলেন।
যেখানে সব শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণ সাহিত্যপ্রেমী মানুষ, প্রান্তিক পর্যায়ে সকলে অংশগ্রহণ ও কাব্যিক চর্চা করতে পারে।

লেখা সমাজের আয়না এটি বন্দুকের গুলির চাইতেও শক্তিশালী।
সমাজের দ্বিজাতীয় নীতি বৈষম্য আমলাতন্ত্রের জটিলতা, স্বজনপ্রীতি, কোটা ভিত্তিক, দুর্নীতি মরীচিকার স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে! প্রকৃতি, প্রেম, দ্রোহ, আধ্যাত্মিকতা ও পাঠকের সামনে আনতে পেরেছেন।

তার লেখা দেখে প্রাণে দোলা দেয়, যেমন : মায়াবী, যুগল, চোখ, কাব্য, রক্ত ভেজা শার্ট, রসের হাড়ি দুপুর বেলায় স্টেশনে।
এসব বাদে অমর কীর্তি হিসেবে তার অনেকগুলি বই ও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
একজন দক্ষ কারিগর শাহ আমানত সুফিয়ানের জগন্নাথপুরের “নবজাগরণ” নামে ত্রৈমাসিক পত্রিকারও জয়ন্তী। এর মাধ্যমে সাহিত্য দরবারে আলোচনায় আসেন। ত্রৈমাসিক প্রতিষ্ঠাতা লাভ করেন।

শাহ মো. সফিনূর আমাদের অহংকার আমাদের গর্ব তিনি সাহিত্য অঙ্গনকে বিশ্ব দরবারে আলোয় আলোকিত করছেন তার সৃজনশীল গতিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকুক এই প্রত্যাশা করি।

পরিশেষে আলোকিত কবির প্রতি রহিল অকৃত্রিম ভালবাসা।
জয় হোক কবিতার, জয় হোক বংলা সাহিত্যের।

Facebook Comments Box

Posted ১১:১৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

পতাকার শপথ!
(562 বার পঠিত)
প্রবাস জীবন!
(418 বার পঠিত)
বিদ্যুৎ নেই!
(390 বার পঠিত)
প্রেমনগর
(334 বার পঠিত)
বাঁশেঘেরা ঘর
(89 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com