
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 29 বার পঠিত
সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কিস্তিতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিজ তদন্তাধীন মামলা থেকে ধর্তব্য ধারা বাদ দেয়া, দূর্বল চার্জশীট প্রদান ও আসামি না ধরতে, কয়েক কিস্তিতে লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত এ সাব-ইন্সপেক্টরের (নিরস্ত্র) নাম মো: আলীম উদ্দিন (বিপি-৭৫৯৪০৪৫২৬৩)। ঘুষ নিয়েও কথা মতো কাজ না করায়ই ঘটে বিপত্তি। টাকা ফেরত চাইলে, বেমালুম অস্বীকার করে বসেন সব। এদিকে এমন আশঙ্কা থেকে, ঘুষ লেনদেনের দুই কিস্তির ভিডিও আগেই গোপনে ধারণ করে রাখেন ভুক্তভোগী। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, থানা কম্পাউন্ডের বৈঠকখানায় বসে, গুনে দেয়া ঘুষের কিস্তি হাসি মুখে পকেটে পুরছেন তিনি। টাকা পকেটস্থ করে বলতেও শুনা যায়, চার্জশীটের জন্য লাগবে পুরো ২০ হাজারই। অন্য ভিডিওতে দেখা যায়, মামলার এমসি’র জন্য অন্য কিস্তর পরো ২০ হাজারের জন্য দেন-দরবার করছেন তিনি।
সূত্র জানায়, গেল বছরের ২০ আগস্ট উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আনপুর গ্রামের মকবুল আলী ও জুনেদ হোসেন গংদের মধ্যে পূর্ব বিরোধরে জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মকবুল আলী প্রতিপক্ষ জুনেদ গংদের নামে মামলা (থানার এফআইআর নাম্বার-২০, তাং ২৮.০৮.২০২৪) দেন। ক্রমান্বয়ে এ মামলার তদন্তভার পান এসআই মো: আলীম উদ্দিন। এদিকে আসামী পক্ষ নিজ তালতো ভাই, উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে ফয়ছল আহমদ (৩২)কে দায়িত্ব দেন মামলার বিষয়টি তাদের হয়ে দেখভালের জন্য। এর সুবাধে তিনি মামলার বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও আইনি সহায়তা নিতে যোগাযোগ করেন এসআই আলীম উদ্দিনের সাথে। নিয়মিত যোগাযোগের এক পর্যায়ে তার সাথে মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক পাতেন চতুর আলীম। এক পর্যায়ে মামলার বিভিন্ন বিষয়ে ছাড় দেয়ার লোভনীয় অফার দেন তিনি। প্রত্যেকটির জন্য বিনিময়ে দাবী করেন পৃথক পৃথক অনৈতিক সুবিধা (ঘুষ)। বিভিন্ন সময়ে ২০ হাজার করে ৪ কিস্তি ও ১০ হাজার করে ২ কিস্তিতে সুকৌশলে আদায় করে নেন লক্ষ টাকা। পরে কথা মতো কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে, তাকেও ফাাঁসানো হুমকি দেন উল্টো।
ভুক্তভোগী ফয়সল আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘সরলতার সুযোগ নিয়ে হীন উদ্দেশ্যে সম্পর্ক পেতে, দারোগা আলীম আমাকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনদের কাছে, আমার ব্যক্তিত্ব-সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কিস্তিতে লাখ টাকা নিয়েও, উল্টো আমাদের হয়রানি করেছেন। একবার কিছুটা সন্দেহ হলে, আমি লেনদেন’র দুটি ভিডিও ধারণ করে রাখি। কথা মতো কাজ না করায়, টাকা ফেরত চাইলে তিনি উল্টো আমাকে ভয়-ভীতি দেখান। বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। শীঘ্রই এ বিষয়ে আমি পুলিশ সুপার বরাবরে প্রতিকার চাইবো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব-ইন্সপেক্টরের মো: আলীম উদ্দিন’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি এ বিষয়ে কোন সদুত্তর না দিয়ে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও আররিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক চৌধুরী বলেন,‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আগে জেনে নেই। সত্য হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ১০:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed