অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 128 বার পঠিত
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রেমিককে গাছে বেঁধে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. আব্দুল করিম (৩২) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কামারগাঁওয়ের ইদ্রিছ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে দোয়ারাবাজারের মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে তার কিশোরী প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত রবিবার (১০ মার্চ) ভিকটিম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ৬/৩৩)। ঘটনায় অভিযুক্তদের চারজনের একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিমের প্রেমিক মো. নুরুজ্জমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিকটিমের পাশের বাসায় (বর্তমান) থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সেই সুবাধে মো. নুরুজ্জমানের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা দুজনে বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেমিক মো. নুরুজ্জমানের স্থায়ী বাড়ি সুনামগঞ্জ হওয়ায় তারা গত শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে বিবাহের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া (বিশ্বরোড) থেকে বাসযোগে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত আনুমানিক ১১টায় ছাতক বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজি যোগে দোয়ারাবাজার থানাধীন কাটাখালী বাজারে রাত ১টায় পৌঁছে। কাটাখালী বাজার হতে সুনামগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করাকালীন সময়ে আসামি সিএনজি চালক আব্দুল করিম ও অপর ২ জন আসামির সঙ্গে দেখা হয়।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের কামারগাঁওয়ে নুরুজ্জামানের বন্ধু আফাজ উদ্দিনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। আব্দুল করিম তাদেরকে আফাজ উদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলে জানান। কথামতো রাতে সেখান থেকে অটোরিকশায় তারা রওনা দেন।
পথে গ্যাস নেই জানিয়ে অটোরিকশা থামিয়ে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছর উদ্দিনকে (৩৫) ডেকে আনেন চালক। আফছর উদ্দিন প্রেমিক-প্রেমিকাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে পুলিশে সোপর্দ করার ভয় দেখান। এরপর পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে আফছর উদ্দিন, ফয়জুল বারী (৪৫), আব্দুল করিম (৩৫) ও জালালপুরের হায়াত আলীর ছেলে ছয়ফুল ইসলাম (৩০) ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর আসামিরা তাদেরকে সুনামগঞ্জ পৌঁছে দেয়ার কথা বলে আসামি আব্দুল করিমের সিএনজি যোগে আমবাড়ী বাজার নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। সেখানে একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় গত রবিবার (১০ মার্চ) ভিকটিম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ৬/৩৩)।
এদিকে, ঘটনার পর ছায়াতদন্ত শুরু করে (র্যাব)-৯। ঘটনার ৪ দিন পর অটোরিকশাচালক আব্দুল করিম গ্রেফতার হলেও আওয়ামী লীগ নেতাসহ বাকি আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে তাদেরও ধরতে তৎপরতা জোরদার রেখেছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৯।
আসামি আব্দুল করিমকে গ্রেফতারের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Posted ৫:৩৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed