জগন্নাথপুর প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 41 বার পঠিত
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সুদের পাওনা টাকা নিয়ে এক হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ৫ জনকে ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ২ জনকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের হান্নান মিয়া (৫৫), তার ছেলে কাদির মিয়া (২৫), আলী আহমদ (২২), একই গ্রামের মৃত রজাক উল্লাহর ছেলে খলিল মিয়া (৫০), তার ছেলে নুরুল মিয়া (২৩) ও বদরুল মিয়া (২১) এবং মাসুক মিয়ার ছেলে মারুফ আহমদ (২৪)
পুলিশ, মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মাস আগে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার কাছ থেকে একই গ্রামের ফার্নিসার ব্যবসায়ী চন্দন দাস সুদে ১০ হাজার টাকা ঋণ আনেন। পরে দুই মাসে সুদ ছাড়াও মূল টাকার ৮ হাজার ৭০০ টাকা পরিশোধ করা হয়।
গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় আলীগঞ্জ বাজারে চন্দন দাসের ফার্নিসারের দোকান হান্নান মিয়া বাকি ১৩০০ টাকা চাইতে গেলে চন্দন দাসের ছোট ভাই কাঞ্চন দাসের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে হান্নান মিয়ার লোকজন চন্দন দাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মূর্তিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। এতে নারীসহ ১০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় চন্দন দাস বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় হান্নান মিয়াকে প্রধান করে ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী চন্দন দাস বলেন, তিন দফায় আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। পূর্জার মূর্তিসহ ঘরবাড়ি ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। প্রথমে ঋণ হিসেবে টাকা এনেছিলাম। পরে সুদও দিয়েছি।।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুশংকর পাল বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গতকাল মামলা দায়ের পর এজাহারনামীয় ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হিন্দু পরিবারে হামলা ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় সোমবার সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
Posted ৮:০৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed