
অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 24 বার পঠিত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীকে শনাক্ত করেছে তথ্যানুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাবির উপাচার্য অফিস সংলগ্ন লাউঞ্জে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের হাতে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেন জুলাই হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন।
কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন বলেন, ‘আমরা তদন্ত করার সময় বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খুঁজতে গেলে সেখানে কোনও হার্ডডিস্ক পাইনি। সব হার্ডডিস্ক সরিয়ে ফেলা হয়। আমরা সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছে একটা মেইল ও নম্বর পাঠাই। শিক্ষার্থীরা সেখানে জুলাই হামলার নানা ছবি, ভিডিও পাঠায়। এছাড়া আমরা ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল পত্র-পত্রিকার সংবাদগুলো দেখেছি, সেটার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলাকালীন সময়ে ৭০ জন শিক্ষককে পাওয়া গেছে যারা শিক্ষার্থীদের জামায়াত-শিবির-ছাত্রদল-রাজাকার বলে ট্যাগিং করেন। যেটা আন্দোলনে প্রভাব ফেলেছে। কেননা শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হবে সেটা স্বাভাবিক। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে অনেকে শিকার করেছেন এবং সেটার জন্য সরি বলেছে। আমরা সেটা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি।’
তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হামলা হয়েছে আমরা তার সবকিছু এ প্রতিবেদনে আনার চেষ্টা করেছি। সেখানে আমরা দেখেছি, ১৫ জুলাই নারী শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে, যেখানে ১২২ জন ঢাবি শিক্ষার্থী হামলায় জড়িত, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমরা পেয়েছি। এছাড়া বহিরাগত ও অনেক শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। এ প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট থেকে পাস হয়ে এলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানাবো। এছাড়া যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের না তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৫ জুলাই বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় আমরা দেখেছি, মল চত্বরে যারা হামলা করেছে তাদের মাথায় সাদা ক্যাপ পরা ছিল। এরপর যারা আহত হয়েছেন, তারা যখন ঢাকা মেডিক্যালে গিয়েছেন সেখানেও হামলা করে ছাত্রলীগ। এরপর চিকিৎসকদের বলা হয় চিকিৎসা না দিতে। সেখানে আমাদের প্রশাসনেরও যোগসাজশ থাকতে পারে, যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।’
প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার সময় আরও ছিলেন– উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল ইসলাম হক প্রমুখ।
Posted ৯:২০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed