অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 149 বার পঠিত
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, “জাতির সূর্য সন্তানদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে। তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। পৃথিবীর ইতিহাস যতদিন থাকবে, ততদিনই এই অমানবিক ও বর্বর হত্যাযজ্ঞের কথা ঘৃণার সাথে উচ্চারিত হতে থাকবে। হত্যাকারীরা চাইলেও দেশের অগ্রগতি তারা রুখতে পারেনি, পারবেও না। মর্যাদার সাথে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ অনুসরণের মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও মহান শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটি ২০২৩ এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাকের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার তারেক ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মহান শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটি ২০২৩ এর সদস্য সচিব অনিক বিশ্বাস। মূখ্য আলোচক ছিলেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহিরকান্তি চৌধুরী, প্রমূখ।
আলোচনা সভার সভাপতি মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক বলেন, “জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে আমরা ধন্য। জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের সাথে এ দেশীয় দোসরদের অপকর্ম কখনও ক্ষমার যোগ্য নয়। এটি ছিল জাতির বিবেকের ওপর কুঠারাঘাত।স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং পূর্বাপর অনেক বিষয়ে পক্ষ বিপক্ষ নানা ভাষ্য থাকলেও শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিষয়ে কোনও পক্ষ কোনও সময় দ্বিমত পোষণ করেনি। শহিদদের আদর্শ অনুসরণ করাই শেষ্ঠ পাথেয়।”
এর পূর্বে সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ করা হয়। জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক ও মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক। পরে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ভাইস চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এসময় এম ইউ মুনা, এম ইউ স্পোর্টস ক্লাব, এম ইউ ইংলিশ সোসাইটি সহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে সকালে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নগরীর চৌহাট্টাস্থ শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ জহিরুল হক। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুপুরে জোহর নামাজের পর শহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
Posted ৪:৪৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed