অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 62 বার পঠিত
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের একটি হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের ক্লোজারে (ডুবন্ত বাঁধ) এখনও মাটির কাজ শুরু হয়নি। এই ভাঙা স্থানে কাজ শুরু না হওয়াতে কৃষকরা শঙ্কায় আছেন। কৃষকদের দাবি মইয়ার হাওরের ফসলরক্ষার পাশাপাশি এ বাঁধ জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ফসলরক্ষায় ভূমিকা রাখে। এটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে দু হাওরের ফসলডুবির শঙ্কা থাকে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দ্বিতীয় বৃহৎ মইয়ার হাওরের ১৫ নম্বর প্রকল্পের ব্রাক্ষণধাইর নামক স্থানে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের একাংশে ভাঙা বড় গর্ত রয়েছে। এ গর্তে এখনো মাটি পড়েনি। পরিদর্শনকালে বাঁধের কাজের দায়িত্বে থাকা কোনো লোকজনকেও দেখা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ০.৩৭১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য বড় গর্তে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি।
এই বাঁধের জন্য ১৫ লাখ ৮৪ হাজার বরাদ্দ প্রদান করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাহিজুর রহমান খলিল।
এব্যাপারে সাহিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার প্রকল্পে গতকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙা স্থানে দ্রুত মাাটির কাজ করা হবে।
এদিকে মইয়ার হাওরের ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রকল্পের কাজ চলমান দেখা গেছে।
কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এবার এসব প্রকল্প সংস্কার ও নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে চার কোটি ৪২ লাখ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের দেড়মাস অতিবাহিত হলেও কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এখনো বেশ কিছু প্রকল্পে মাটির কাজ শুরু হয়নি। এতে আমরা কাজ নিয়ে শঙ্কিত। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসইভাবে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করে কৃষকদের কষ্ঠার্জিত ফসলরক্ষা করতে হবে। অন্যতায় কৃষদের অধিকার আদায়ের রাজপতে নামব আমরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি শীল জানান, হাওরের সব প্রকল্পে কাজ চলছে। মইয়ার হাওরের ওই প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে।
জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমরা নিয়মিত কাজ তদারকি করছি। যেসব প্রকল্পের কিছু অংশ মাটি পড়েনি দ্রুত সেসব স্থানে মাটির কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Posted ১১:৩৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed