দিল আহমেদ, জামালগঞ্জ | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 58 বার পঠিত
নিশ্চিত লোকশান জেনেও বিলে জমে থাকা পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদের চেষ্টা চলছে লম্বা বিলের হাওরের জলাবদ্ধ এলাকায়।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনার বাঁক ইউনিয়নের গঙ্গাধরপুর, তেঘরিয়া, ছয়হাড়া গ্রামের কৃষকরা ৫টি শ্যালোমেশিন দিয়ে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫শ টাকা দিয়ে এ সেচ কাজ করছেন কৃষকরা।
সার, কীটনাশক, বীজ ও ডিজেলের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধির পর তেমন লাভ হয় না বোরো ধান আবাদে। তার ওপর উপজেলার অধিকাংশ বিলে পানি জমে থাকায় পানি সেচ দিয়ে আবাদ করতে খরচ আরো বেড়ে নিশ্চিত লোকশানের আশংকায় চাষীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় জলাবদ্ধতার এমন চিত্র।
এদিকে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় আর কোন ফসল না ফলাতে পেরে বাধ্য হয়ে বোরো আবাদ করতে বিভিন্ন বিলে সেচ কাজ শুরু করেছেন চাষীরা। ডিজেল চালিত শ্যালোমেশিনে সেচ শেষ করে বোরো আবাদের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
ভুক্তভোগি চাষী নিরঞ্জন বলেন, গত ৫ বছর ধরে সেচ দিয়ে কোন প্রকারে বোরো আবাদ করলেও আর কোন ফসল ফলাতে পারছেন না তারা। কৃষক চন্দ্র ধর বলেন এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত জমি থাকা সত্ত্বেও ফসলহীনতার কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমন দশা থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী সমাধানের দাবি তাদের।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, লম্বা বিলের হাওরে সেচ দিয়ে কিছু জমি বোরো আবাদের আওতায় আনা গেলেও অধিকাংশ জমিতে পানি থাকায় ফসল আবাদ করা যাচ্ছে না। চাষ নির্ভর ওই এলাকার আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে জমিগুলো সেচের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
প্রতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে পরবর্তী প্রায় ৭ মাস স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয় লম্বা বিলের হাওরে।
কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন জামালগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৪শ হেক্টর জমি বোর লক্ষ্যমাত্রা আমাদেরকে ফেনার বাঁক লম্বা বিলের হাওরে ৮০ হেক্টর (৬শ বিঘা) জমিতে এখনও পানি জমে আছে। কৃষকরা শ্যালোমেশিন লাগিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে জমি রোপণ করার চেষ্টা করছেন আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ফেনার বাঁক ইউনিয়নে পাগনার লম্বা বিলের হাওরে স্থানীয় গ্রামবাসী নিজ উদ্যাগ নিয়ে পানি সেচে জমি রোপণ করছে আমি তাদেরকে স্বাগত জানাই।
Posted ৫:০৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed