অনলাইন ডেস্ক | শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 51 বার পঠিত
সিলেটসহ দেশের উত্তরাঞ্চল, কিশোরগঞ্জ, যশোর, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ মৌসুমে প্রথমবার এসব এলাকার তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। দিন ও রাতে প্রায় একই রকম শীত অনুভূত হচ্ছে এসব এলাকায়। হিমেল বাতাস এবং ঘনকুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত। খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ সবচেয় বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে।
সারা দেশে এই তীব্র শীতের প্রধান কারণ শৈত্যপ্রবাহ নয় বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সরকারি সংস্থাটি বলছে, এর মূল কারণ হলো দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবারও সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে। ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে শীত বেশি লাগে। দিনে সূর্যের আলো কম আসায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করে না। ফলে ওই দুই বিপরীতধর্মী সময়ে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। আগামী ২-৩ দিন শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে। এরপর ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।
তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীত নামবে। মাসের বাকি সময় থাকতে পারে তীব্র শীত। এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, সিলেট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গাজুড়ে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
প্রসঙ্গত, শনিবার নওগার তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে এসছে। রাতে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। তীব্র শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed