অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 40 বার পঠিত
সিলেট মহানগরের পুরাতন ২৭টি ওয়ার্ডে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের তথ্য জানানোর মেয়াদ বাড়িয়েছেন সিটি করপোরেশন (সিসিক) কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৫ মে) দিনভর মাইকিংয়ের মাধ্যমে নগরবাসীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তথ্য জানানোর মেয়াদ আগামী ২৮ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সিসিক।
এরপর আর কারো হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও সিসিক জানায়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে মহানগরের পুরাতন ২৭টি ওয়ার্ডে হোল্ডিং ট্যাক্স বা গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন (রি-অ্যাসেসমেন্ট) শেষে কর ধার্য করে পরিষদে পাস করিয়েছিলেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নতুন গৃহকর কার্যকরের সময় ছিলো ২০২১-২২ অর্থবছর। কিন্তু মেয়র আরিফ নতুন করের বিষয়টি প্রকাশ করেননি, বাস্তবায়নও শুরু করে যাননি।
সিসিকের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় গত এপ্রিলে নতুন নতুন ট্যাক্সের বিষয়টি প্রকাশ করেন। ২৭ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ট্যাক্সের নতুন হার জানাতে ৩০ এপ্রিল থেকে নগরভবনের ক্যাম্প শুরু করা হয়। সেই ক্যাম্পের মেয়াদ ছিলো ১৪ মে পর্যন্ত। সেটি বাড়িয়ে এখন ২৮ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
এদিকে, নতুন গৃহকরের বিষয়টি জানার পর থেকেই নগরজুড়ে শুরু হয় হইচই। গৃহমালিকদের অনেকেরই করের পরিমাণ দেখে চোখ ছানাবড়া। যাঁর ৩০০ টাকা বার্ষিক কর ছিলো- তাঁর এখন ৩০ হাজার টাকা। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকশ গুণ বাড়ানো হয়েছে গৃহকর। এতে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেন গৃহমালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনও এর প্রতিবাদ করছে, দিচ্ছে স্মারকলিপি। তারা এই ট্যাক্সের হার বাতিল করার জোর দাবি তুলেছেন। গৃহমালিকসহ বিভিনন্নজনের দাবি- ‘আয় নেই’ এমন অনেকেরই ২০ থেকে ২০০ গুণ পর্যন্ত ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে, যা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
নতুন ট্যাক্সের হার নিয়ে নগরবাসী প্রতিবাদমুখর হওয়ায় গত রবিবার (১২ মে) জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি নগরভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নগরবাসীর অভিভাবক আমি। তাদের উপর কোনো বোঝা হবে- সেটা চাই না। তাই নতুন ট্যাক্স আদায়ের আগে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করা হবে। আগামী ২৮ মে পর্যন্ত ২৭টি আপিল বোর্ড কাজ করবে। ভবনমালিকরা আপত্তি জানিয়ে ২৮ মে পর্যন্ত করের হার পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবেন।’
মেয়র আরও বলেন, ২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নেতৃত্বে রিভিউ বোর্ডে একজন করে প্রকৌশলী ও আইনজীবী থাকবেন। রিভিউ বোর্ডকে নিজে মনিটর করবেন বলে জানান মেয়র।
কয়েকশ গুণ কর বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন- এমন ব্যক্তি রয়েছেন, যার ক্ষমতা রয়েছে ৫০ হাজার টাকা কর দেওয়ার। অথচ তিনি দিচ্ছেন ৫ হাজার টাকা। নতুন হিসাব করে তাঁর করের পরিমাণ গিয়ে হয়তো দাঁড়িয়েছে ৮০-৯০ হাজার টাকায়। কিন্তু সেটি তিনি মেনে নিতে পারছেন না, তিনি কয়েকশ গুণ বলে দাবি করছেন। বাস্তবে তাঁর কর ফাঁকির কারণে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
Posted ৯:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed