শাহ্ মোঃ সফিনূর | বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 745 বার পঠিত
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা । ইসলাম সর্বকালের জন্য কল্যাণকর এবং যুগে যুগে ইসলাম আধুনিক জীবন ব্যবস্থা । ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হল যাকাত , ইসলামিক শরিয়তের ভাষ্য মতে, কোনো মুসলিম নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রতি বছর তার সম্পদের শতকরা ২.৫০ হারে নিদিষ্ট খাতে ব্যয় করাকে যাকাত বলে।
তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন। -সূরা বাকারা : ১১০
তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’-সূরা তাওবা : ১০৩
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু সে তার যাকাত দেয়নি কিয়ামতের দিন তা বিষধর স্বর্পরূপে উপস্থিত হবে এবং তা তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার উভয় অধরপ্রান্তে দংশন করবে এবং বলবে, আমিই তোমার ঐ ধন, আমিই তোমরা পুঞ্জিভূত সম্পদ।’ -সহীহ বুখারী
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের হিসাব অনুসারে, নিসাবের পরিমাণ হচ্ছে ৭.৫ তোলা স্বর্ণ কিংবা ৫২.৫ রৌপ্য বা সমপরিমাণ অর্থ , এই পরিমান সম্পত্তির মালিক হলে অবশ্যই একজন মুসলিম যাকাত প্রদান করতে হবে ।আর যাকাত সম্পদকে পবিত্র করে, মানুষের পবিত্র ও উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে এবং মিত্যব্যয়ী হতে শেখায়। যাকাত প্রদান করার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ধনী গরীবের মাঝে আর্থিক সমন্বয়ের জন্য যাকাতের বিধান দিয়েছেন। এবং যে সমস্ত ব্যক্তি কে যাকাত প্রদান করতে পারেন তা হল …
(১) ফকীর
(২) মিসকীন
৩) যাকাত আদায়কারী ও হেফাযতকারী
(৪) ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য কোন অমুসলিমকে যাকাত প্রদান করা
(৫) দাস মুক্তির জন্য
(৬) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি
(৭) আল্লাহর রাস্তায়
(৮) মুসাফির
যাকাত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রমজান মাসে যাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময়। তাই রমজান মাসে রোজাদার মুমিন বান্দারা একসঙ্গে গরিবের হক যাকাত ও ফিতরা— প্রদান করে ইবাদত করেন ॥
Posted ১২:২১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed