অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 121 বার পঠিত
পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। টানা একমাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিন দুনিয়াজুড়ে এই উৎসব পালন করা হয়। সকল ভেদাভেদ ভুলে এদিন ঈদু উল ফিতরের নামাজে এক কাতারে সামিল হন মুসলিমরা। এরপর পরস্পরে কোলাকুলি, কুশল বিনিময় করেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ না পাওয়ার পরই চূড়ান্ত হয় ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। এ কারণে বুধবার (১০ এপ্রিল) সূর্য ডুবতেই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয় সাক্ষাতে, মোবাইলে, এসএমএসে, ফেসবুকে, মেইলে।
বৃহস্পতিবার সকালে সারাদেশের মুসলমানরা ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেছেন। এদিকে ঈদের কারণে বহুদিন পর প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে গ্রামে থাকা পরিজনদের নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন।
নতুন পোশাক পরে ঈদের পুরো দিনই চলছে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি। বেড়াতে যাচ্ছেন একে অপরের বাড়ি, করাচ্ছেন মিষ্টিমুখ। ছোটরা নতুন পোশাক পরে বড়দের কাছ থেকে সালামি আদায়ে তৎপর থাকেন সারাদিন।
ঈদের দিনে সারা দেশে বাড়ি বাড়ি সাধ্যমতো উপাদেয় খাবার রান্না করা হয়েছে। বাড়ির ছোট সদস্যদেরই আনন্দ-উদ্দীপনা বেশি। নতুন পোশাকে সেজেগুজে তারা বেড়াতে যাচ্ছে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি।
মুসলমানদের ঈদের দিনটি যেমন আনন্দের, তেমনি এবাদতেরও। পুরুষেরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল-অজু করে দীর্ঘ এক মাস পর দিনের শুরুতে মুখে খাবার তোলেন। এরপর অংশ নেন ঈদের জামাতে। নামাজ শেষে একে অন্যের সাথে চলে কোলাকুলি। তারপর অনেকেই যান কবরস্থানে, চিরতরে ছেড়ে যাওয়া প্রিয়জনের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য কবর জিয়ারত করেন।
Posted ১১:৩১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed