ড. আবদুল মুহসিন বিন মুহাম্মাদ আল কাসেম | বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 94 বার পঠিত
মহান আল্লাহ পৃথিবীতে মানবজাতিকে প্রতিনিধি বানিয়েছেন এবং তাদের কাউকে কাউকে মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। সাধারণভাবে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী হচ্ছেন রাসুলরা, কেননা বান্দাদের মধ্যে তারা নির্বাচিত ব্যক্তি; যাদের বিশ্ববাসীর মধ্য থেকে আল্লাহতায়ালা সালাম জানিয়েছেন, অহির জন্য চয়ন করেছেন এবং তার রেসালাতের আমানতদার করেছেন। আল্লাহতায়ালা এই মহান মানুষদের মধ্যেও একজনকে অন্যের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তাদের সর্বোত্তম হলেন আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাস, তারপর হজরত ইবরাহিম (আ.)। আল্লাহতায়ালা তার কিতাবে হজরত ইবরাহিম (আ.) সম্পর্কে বহু খবর উল্লেখ করেছেন; তার শিশুকাল থেকে পরকালে শেষ পরিণতি পর্যন্ত। তার রব তাকে বিশ্ববাসীর মধ্য থেকে মনোনীত করেছেন। এই মর্মে মহান আল্লাহ বলেন, ‘দুনিয়াতে তাকে আমি মনোনীত করেছি।’ (সুরা আল-বাকারা : ১৩০)
তার যৌবনকালে তাকে সুস্থ মন ও সঠিক বোধশক্তি দিয়ে তিনি অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ তাকে আত্মসমর্পণ করতে এবং তার আনুগত্য করতে আদেশ করেছিলেন, তিনি বিনাদ্বিধায় তাতে সাড়া দিয়েছিলেন। আল্লাহতায়ালা তার জন্য সত্যবাদিতা ও নবুয়তকে একত্র করেছেন। ফলে তিনি কথা ও বিশ্বাসে সত্যবাদী ছিলেন এবং স্বীয় কর্ম দ্বারা সততা নিশ্চিত করেছিলেন। তার অন্তর শিরক, সংশয়, হিংসা-বিদ্বেষ, ত্রুটি ও চারিত্রিক বিচ্যুতি থেকে মুক্ত ছিল। তার সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করুন, যখন তিনি তার রবের কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশুদ্ধচিত্তে।’ (সুরা আস-সাফফাত : ৮৪)
তিনি একনিষ্ঠভাবে শুধু আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী হয়ে তার অভিমুখী হয়েছিলেন এবং তিনি ছাড়া অন্যসব উপাস্য থেকে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় আমি নিবিষ্ট করেছি আমার চেহারা একনিষ্ঠভাবে তার জন্য, যিনি আসমানগুলো ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।’ (সুরা আল-আনআম : ৭৯)
তিনি অধিক পরিমাণে ইবাদত-বন্দেগি করতেন, সর্বদা আল্লাহর আনুগত্যে নিবেদিত ও তার প্রতি বিনয়ী ছিলেন। তিনি এমন স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যেখানে তিনি ছাড়া কোনো মুসলমান ছিল না। তারপর স্ত্রী সারা তার অনুসারী হন। তার কওমের লোকদের মধ্যে কেউ মূর্তিপূজা করত, অন্যরা তারকারাজির উপাসনা করত এবং তাদের শাসক নিজেকে প্রভু বলে দাবি করত। মহান আল্লাহ তাকে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও সাবলীল ভাষায় বুদ্ধিদীপ্ত তর্কশক্তি দান করেছিলেন। আল্লাহতায়ালা তাকে কাবাঘর নির্মাণ করতে আদেশ করেন, বায়তুল্লাহকে শিরকমুক্ত রাখতে তার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেন এবং হজের ঘোষণা দিতেও তাকে আদেশ করেন; ফলে তিনি এগুলো যথাযথভাবে পালন করেন। আল্লাহ তাকে নেয়ামতরাজি দিয়ে পরীক্ষা করেন; তিনি সেসব নেয়ামতের শোকরগুজার ছিলেন। তাকে তিনি নানা প্রতিকূলতা দিয়েও পরীক্ষা করেন, কিন্তু তিনি এগুলোর ওপর ধৈর্যশীল ছিলেন; যৌবনকালে সন্তান বঞ্চিত ছিলেন, আর বৃদ্ধ বয়সে যখন তিনি সিরিয়ায় ছিলেন তখন আল্লাহ তাকে হজরত হাজেরা (আ.)-এর গর্ভ থেকে হজরত ইসমাইল (আ.)-কে দান করেছিলেন। তারপর আল্লাহ তাকে আদেশ করলেন, তিনি যেন স্বীয় শিশুসন্তানসহ স্ত্রীকে পর্বতমালার মধ্যে কোলাহলমুক্ত ও জনমানবহীন উপত্যকায় রেখে যান, যেখানে কোনো পানি ও ফল-ফসল নেই! হজরত ইবরাহিম (আ.) তাই করলেন, এতে হজরত হাজেরা (আ.) শঙ্কিত হয়ে তার পিছু পিছু ছুটে এসে বললেন, ‘আল্লাহই কি আপনাকে এ হুকুম দিয়েছেন? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। তখন হাজেরা বললেন, তাহলে তিনি আমাদের ধ্বংস করবেন না।’ (সহিহ বোখারি)
অতঃপর হজরত ইবরাহিম (আ.) তাদের বিচ্ছেদে ধৈর্য ধরলেন। এদিকে হজরত ইসমাইল (আ.) বড় হয়ে বিয়ে করেছেন এবং তার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। অথচ হজরত ইবরাহিম (আ.) তখনো তাদের দুজনের সাক্ষাৎ পাননি। পরে তিনি আগমন করলে হজরত ইসমাইল (আ.) তাকে দেখে ‘সামনে এগিয়ে এসে দাঁড়ালেন এবং তারা তাই করলেন, যেমন একজন বাবা তার সন্তানের সঙ্গে এবং সন্তান তার বাবার সঙ্গে করে থাকে আলিঙ্গন ও করমর্দন। তারপর তিনি বললেন, হে ইসমাইল! আল্লাহ আমাকে এখানে একটি ঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর ইসমাইল (আ.) পাথর আনতে শুরু করলেন এবং ইবরাহিম (আ.) তা নির্মাণ করতে লাগলেন।’ (সহিহ বোখারি)
দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর যখন হজরত ইবরাহিম (আ.) তার একমাত্র ছেলেকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা, তখনই আল্লাহ তাকে কোরবানির আদেশ দেন। অথচ তাকে কোরবানির মাধ্যমে তার বংশ নিঃশেষ হয়ে যাবে, এতদসত্ত্বেও তিনি আল্লাহর আদেশ পালন করলেন এবং হজরত ইসমাইল (আ.)-কে উপুড় করে মাটিতে শুইয়ে দিলেন, তার ঘাড়ের পেছন থেকে তাকে জবাই করার জন্য; তখনই এক বড় কোরবানির পশুর বিনিময়ে তাকে মুক্ত করা হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা।’ (সুরা সাফফাত : ১০৬)
যখন তিনি নিজের কওমকে আল্লাহর একত্বের দিকে আহ্বান করলেন, তখন তারা বিশাল অগ্নিকুণ্ড প্রজ¦ালিত করল; তাকে কঠিন শাস্তিদান ও ভস্মীভূত করার লক্ষ্যে। এরপর তারা তাকে সেখানে নিক্ষেপ করল। এভাবে আল্লাহ তাকে বিভিন্ন আদেশ ও নিষেধ দ্বারা পরীক্ষা করেন, তিনি সেগুলো সবই যথাযথভাবে পালন করেছেন। তিনি অধিক দোয়া করতেন মর্মে আল্লাহ তার প্রশংসা করেছেন। নবীদের মধ্যে তার দোয়াই সবচেয়ে বেশি কোরআন মাজিদে এসেছে। তার হৃদয় আল্লাহর প্রতি এমন সুধারণা ও আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ ছিল যে, তিনি যা চাইবেন আল্লাহ তাকে তা দেবেন, ‘আর আমি আমার রবকে ডাকছি, আশা করি, আমার রবকে ডেকে আমি দুর্ভাগা হব না।’ (সুরা মারইয়াম : ৪৮)
তাই তিনি এমন কিছুর প্রার্থনা করেছিলেন, যা সাধারণত অসম্ভব মনে হওয়ার মতো, কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত হয়েছিল! তিনি প্রার্থনা করেছিলেন, সেই ভয়ংকর উপত্যকা যেখানে কাবা নির্মিত হয়েছে তা যেন নিরাপদ হয়, লোকরা সেখানে আগমন করে এবং এতে যেন সব ধরনের ফলমূল সরবরাহ করা হয়। অতঃপর আল্লাহ তার এ প্রার্থনা কবুল করেছেন। তিনি আল্লাহর কাছে সৎকর্মপরায়ণ সন্তান চেয়েছিলেন, ফলে তারপর তার বংশধর থেকেই নবীদের আগমন ঘটেছে। তিনি সেই অনুর্বর পর্বতমালার মানুষকে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের মধ্য থেকে কাউকে পাঠানোর জন্য দোয়া করেন; ফলে আল্লাহতায়ালা আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে মক্কা থেকে পাঠিয়েছেন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমি আমার বাবা ইবরাহিমের দোয়ার ফল।’ (মুস্তাদরাক হাকেম)
মেরাজের রাতে নবী করিম (সা.) সপ্তম আকাশে যখন হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে দেখতে পান, তখন হজরত জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘তিনি হচ্ছেন আপনার বাবা, কাজেই তাকে সালাম করুন। তিনি বলেন, তারপর আমি তাকে সালাম দিই, তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, স্বাগতম হে নেক সন্তান ও সৎ নবী।’ (সহিহ বোখারি)
তিনি রবের কাছে আবেদন করেছিলেন যেন তাকে মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখেন, ফলে তিনি একত্ববাদীদের ইমামে পরিণত হন। সব মিল্লাতের লোকজনই তাকে ভালোবাসেন। ইবাদত পালন ও মানুষকে সরল পথে আহ্বানের পাশাপাশি, তিনি তার সন্তানদের মঙ্গলের বিষয়ে খুবই যত্নবান ছিলেন। তাই তাদের তাওহিদের অনুশীলন ও নামাজ কায়েমের ওপর গড়ে তুলেছেন। তিনি তাদের জন্য দোয়া করে বলতেন, ‘হে আমাদের রব! আমাদের আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান।’ (সুরা আল-বাকারা : ১২৮)
তাদের ইসলামের ওপর অবিচল থাকতে উপদেশ দিতেন, ফলে আল্লাহ তাকে ও তার সন্তানদের উচ্চমর্যাদায় উন্নীত করেন। আল্লাহতায়ালা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর পরিবারকে বরকতময় করে এবং তার মহাগ্রন্থে উল্লেখ করে অমর করে তুলেছেন। তিনি তাদের কিছু কর্মকে কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করেছেন, যেমন সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সায়ী করা, কোরবানি ও জমজম পানি। তিনি ছিলেন মানুষের প্রতি করুণাশীল; যখন ফেরেশতারা তাকে জানিয়েছিল, অনৈতিক ক্রিয়াকলাপের জন্য লুত সম্প্রদায়কে তারা ধ্বংস করবে, তখন তিনি তাদের ধ্বংস না করার জন্য তাদের সঙ্গে তর্কে জড়ান, যাতে তারা তওবা করতে পারে। তিনি ছিলেন মহান চরিত্রের অধিকারী, স্বয়ং আল্লাহ ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য তার প্রশংসা করেছেন। তিনি খুবই দানশীল ও উদার ছিলেন, অল্পসংখ্যক মেহমানের জন্য একটি মোটাতাজা গো-বাছুর জবাই করেন।
দ্বীনের মূলভিত্তি হলো, আল্লাহর ইবাদত করা; দ্বীনকে তার জন্য একনিষ্ঠ করা, তিনি ছাড়া অন্যসব উপাস্য থেকে বিমুখ হওয়া। আর এটাই হলো মিল্লাতে ইবরাহিম, যার অনুসরণ করতে আল্লাহতায়ালা আমাদের নবীকে আদেশ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারপর আমি তোমার প্রতি অহি পাঠিয়েছি, তুমি মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসরণ করো, যে ছিল একনিষ্ঠ এবং ছিল না মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা আন-নাহাল : ১২৩)
আল্লাহতায়ালা সব মানুষকে তার মিল্লাতের অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নবী ইবরাহিম খলিল (আ.) আল্লাহর সব আদেশ পালন করেছেন এবং ইবাদতের সব স্তর সম্পূর্ণ করেছেন। তাই তো আল্লাহ তার প্রশংসা করেছেন, প্রতিদানস্বরূপ আল্লাহ তাকে সালাম জানিয়েছেন এবং তাকে বরকত দান করেছেন। আল্লাহ তাকে সম্মান দান করেছেন ও তার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, এমনকি তিনি তাকে ‘খলিল’ তথা অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন এবং তাকে মানবজাতির ইমাম বানিয়েছেন। তাকে মুমিনদের জন্য আদর্শ বানিয়েছেন, প্রত্যেক নামাজের শেষে তাশাহহুদে মুসলমানরা তাকে স্মরণ করেন, তার সৎকর্মগুলো অমর হয়ে আছে, তার দ্বারা নির্মিত বায়তুল্লাহর প্রতি মানুষের হৃদয়গুলো উৎসুক থাকে; তিনি মাকামে ইবরাহিমকে মুসাল্লা হিসেবে গ্রহণ করতে মানুষদের নির্দেশ দেন।
তার নামে কোরআন মাজিদের একটি সুরার নামকরণ করা হয়েছে। নবী করিম (সা.) তাকে ভালোবাসতেন এবং এ নামে নিজের ছেলের নাম রাখেন। তার সাদৃশ্যের দিক থেকে সবচেয়ে কাছের ব্যক্তি হচ্ছেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)। পরকালে তিনি সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত হবেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আখিরাতেও তিনি অবশ্যই সৎকর্মশীলদের অন্যতম।’ (সুরা বাকারা : ১৩০)
হজরত ইবরাহিম (আ.) একনিষ্ঠ ধর্মমত ও সত্যের বিষয়ে একাই একটি উম্মত ছিলেন এবং সব একনিষ্ঠদের ইমাম ছিলেন, যারা এ বিষয়ে তার অনুকরণ করে। আর তার নিকটতম মানুষ হলেন, তার উম্মতের মধ্য থেকে যারা তার প্রতি ইমান এনেছিলেন, আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং উম্মতে মুহাম্মদির মধ্য থেকে যারা ইমানদার। কাজেই যে ব্যক্তি এক আল্লাহর ইবাদত করে না সে মূলত ইবরাহিম খলিলের মিল্লাতের বিরোধিতা করল এবং নিজের ওপর জুলুম করল।
তাওহিদের বিষয়ে রাসুলদের দাওয়াত একই। তবে আদেশ-নিষেধ সম্পর্কিত শরিয়তের বিধানগুলো ভিন্ন ভিন্ন। তাই একটি বিষয় কোনো শরিয়তে হারাম হতে পারে, যা পরবর্তী অন্য শরিয়তে হালাল হতে পারে। আবার কখনো এর বিপরীত হতে পারে। পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ শরিয়ত হচ্ছে সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর শরিয়ত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম আদর্শের পূর্ণতা দান করার জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক নবী-রাসুল থেকে এই প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে পাঠানো হলে তারা তার অনুসরণ করবে। কাজেই যখন নবী করিম (সা.)-কে পাঠানো হয়েছে, তখন সব মানব ও জিন জাতির জন্য তার প্রতি ইমান আনা ও তার আনুগত্য করা ওয়াজিব হয়ে গেছে। এর মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ অর্জিত হবে।
অনুবাদক : মুহাম্মদ আতিকুর রহমান। (১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার ২০২৩, মসজিদে নববিতে প্রদত্ত জুমার খুতবা)।
Posted ১১:২৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed