অনলাইন ডেস্ক | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 53 বার পঠিত
জার্মানিতে বসবাসকারীদের জন্য নাগরিকত্ব লাভের সময় কমিয়ে এনে নতুন আইনের অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির আইনজীবীরা। সেই সাথে নতুন আইনে আরও থাকছে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার সুবিধা। জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্ন-কক্ষ বুন্ডেসটাগে গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) নতুন আইনের পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে।
জার্মান সরকার মনে করছে, এই আইনের মাধ্যমে দেশটি দক্ষ কর্মীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এতে কর্মীর সংকট কিছুটা লাঘব হবে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসসহ (এসপিডি) জোট সরকারের অংশীদার ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (এফডিপি) ও গ্রিন পার্টি আইনটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর কট্টর ডানপন্থী দল এএফডির সঙ্গে এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট (সিডিইউ) ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ)।
মোট ৬৩৯ ভোটের মধ্যে নতুন আইনটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৮২টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২৩৪টি। ২৩ জন আইন-প্রণেতা ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন।
নতুন আইনে যেসব পরিবর্তন আসছে
নতুন আইনে জার্মানিতে পাঁচ বছর বসবাস করলেই বিদেশিরা জার্মান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন, আগে ৮ বছর সময় লাগত। অভিবাসীদের ইন্টিগ্রেশন বা জার্মান সমাজে অন্তর্ভুক্ত হতে ‘অসাধারণ যোগ্যতা’ অর্জন করলে তিন বছরের মধ্যেই নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
দেশটির অধিবাসীরা যে দেশেরই হোন না কেন, নতুন আইনে তিনি দ্বৈত পাসপোর্ট রাখারও সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে । জার্মানিতে বর্তমানে এই সুবিধাটি শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্য সদস্য দেশ ও সুইজারল্যান্ডের নাগরিকেরা পেয়ে থাকেন।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসারের মতে, এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করতে পারবে জার্মানি। তিনি বলেন, ‘দক্ষ কর্মী আকৃষ্ট করার প্রতিযোগিতায় আমাদের টিকে থাকতে হবে। এর অর্থ, বিশ্বের যোগ্য মানুষকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। যেমনটা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা করে থাকে। জার্মানির নাগরিকত্বের বিষয়টিও আবশ্যিকভাবে এর অংশ।’
এই আইনের ফলে কয়েক লাখ তুর্কি জনগোষ্ঠী জার্মানির নাগরিক ও ভোটার হতে পারবেন। তাদের অনেকের মা–বাবা কিংবা তারও আগের প্রজন্ম গত শতকের ১৯৫০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে ‘অতিথি কর্মী’ হিসেবে জার্মানিতে এসেছিলেন।
জার্মানির রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল সিডিইউ ও সিএসইউ নতুন আইনের বিরুদ্ধে। এর আগে জার্মানির নাগরিকদের মূল্যবোধ রক্ষায় তারা এই আইনে সংশোধনী আনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।
অভিবাসন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত কট্টর ডানপন্থী এএফডির জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। এর জেরে অভিবাসনের ক্ষেত্রে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটরাও কঠোর অবস্থান নিতে চায়।
যদিও জার্মানির সরকার অভিবাসনের বিপক্ষে অবস্থান করছে। এর পরিবর্তে অনুমতি বিহীনভাবে বসবাস করা অভিবাসী ও অপরাধীদের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মান সরকার।
Posted ১০:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed