বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আতাসন গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল গফুরের খুনের ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ভাই মো. এনামুল হক।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এনামুল হক বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার প্রবাসী ভাই আব্দুল গফুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আতাসন গ্রামের দিলু মিয়া ও তার ভাই-ভাতিজারা।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ভাইয়ের দাফনে অংশ নিতে অপর চার ভাই প্রবাস থেকে গত ১২ জানুয়ারি দেশে আসেন।
এদিকে ১১ জানুয়ারি স্থানীয় লোকজন কে বা কারা উত্তেজিত হয়ে হত্যাকারীদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও হত্যাকাণ্ডের মূল বিষয়টিকে আড়াল করতে হত্যাকারীরা এই ভাংচুরের দায়ভার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে মিথ্যাচার করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, তারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বাড়িঘর নাকি আমরা ভেঙে ফেলেছি। অথচ আমরা ৪ ভাই তখন দেশেই ছিলাম না।
তারা তাদের গৃহপালিত গরু, মহিষ, ছাগল এবং ধান নিজেরা বিক্রি করে বলে বেড়ায় আমরা নাকি এগুলো লুট করেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এমন কাল্পনিক অভিযোগে আমাদের নামে মামলা করেছে বলেও শুনেছি। সম্প্রতি একটি জাতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুরের জন্য আমাদের দায়ী করছে।
আমরা এমন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মূলত প্রবাসী আব্দুল গফুর হত্যার মূল বিষয়টিকে আড়াল করতেই দিলু মিয়া ও তার সহযোগীরা মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক আরও জানান, এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর তার বড় ভাই আবদুল গফুরকে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তার ভাই আহত হন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় মামলা হলে সেই মামলায় দিলু মিয়া ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন জেলে ছিল। তিনি তার বড় ভাই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
