ইমরান হোসেন, গাজীপুর | শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 94 বার পঠিত
ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ঘরে ফিরতে শুরু করছে কর্মজীবী মানুষেরা। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর – চন্দ্রায় ও ঢাকা -ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসন ও যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে গাজীপুর মহানগর, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে উত্তরবঙ্গে প্রায় ১৭টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। কর্মের তাগিদে উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষ গাজীপুর ও আশপাশের জেলায় বসবাস করেন। ঈদের ছুটিতে এসব অঞ্চলের মানুষ একসঙ্গে গ্রামের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেন। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করে। এতে মহাসড়কের কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও দীর্ঘ সময় ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের ২ দিন বাকি থাকলেও শিল্পনগরী গাজীপুরে অনেক কারখানা আজ ছুটি হয়েছে। অনেকে যানজটের ভয়ে আগেই স্ত্রী-সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
গাজীপুর ও ঢাকার আশপাশের জেলার কর্মজীবী মানুষেরা। মহাসড়কে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকায় থেমে থেমে চলছে যানবাহন। যাত্রীদের অভিযোগ,পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
এদিকে বাড়তি ভাড়ার চাপ এবং যানবাহন স্বল্পতার জন্য অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যান, খোলা ছাদের ট্রাক এবং বাসের ছাদে ভ্রমণ করছেন। মহাসড়কের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা, হাইওয়ে ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে। চন্দ্রা হাইওয়ে পুলিশ যাত্রীদের বিনামূল্যে খাবারের পানির বোতল বিতরণ করেন। প্রচন্ড গরমে তৃস্না মেটাতে পানি পান করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে চন্দ্রা ত্রি-মোড়ে বড় বেশ কয়েকটি ডিজিটাল বিলবোর্ডের মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতনতায় বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শন করছে।
অপরদিকে , ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে ভোগড়া থেকে টঙ্গীর কলেজগেইট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের মাঝের লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখায় দুই পাশের যানবাহনে স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। এতে করে ওই সড়কে যেসব স্থানে বিআরটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব স্থানসহ বোর্ডবাজার ও টঙ্গী কলেজগেইট এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি যাত্রীর ভিড় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন।
Posted ১০:৩৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed