শনিবার ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গ্যাঁড়াকলে ভারত

অনলাইন ডেস্ক   |   রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   61 বার পঠিত

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গ্যাঁড়াকলে ভারত

বাংলাদেশে রপ্তানি করতে না পারায় পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ, ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাংলাদেশে লাফিয়ে বেড়েছিল পেঁয়াজের দাম। যদিও কয়েকদিনের ব্যবধানে তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গ্যাঁড়াকলে স্বয়ং দেশটিই। ভারত-বাংলাদেশ বিভিন্ন সীমান্তে আটকা পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫০০ টন পেঁয়াজ। আর এ ক্ষতি সামাল দিতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা-ভোমরা সীমান্তে নষ্ট হচ্ছে অন্তত ৩০টি ট্রাকের প্রায় সাড়ে ৪০০ টন পেঁয়াজ। যদিও রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বাংলাদেশের উদ্দেশে পাঠানো হয় সেগুলো। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশটির রপ্তানিকারকরা। অন্যান্য সীমান্তের অবস্থাও ভোমরার অনুরুপ। তবে বাংলাদেশের স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, বন্দরে থাকা পেঁয়াজগুলো বুকিং দেয়া নয়।

দেশটির ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় ক্ষতিতে কয়েক কোটি টাকার পণ্য। বাংলাদেশের বাজারে যা পাঠাতে না পারলে মোটা অংকের লোকসান গুণতে হবে তাদের। লম্বা সময় ধরে আটকা পড়ে থাকায় প্রতিদিন ট্রাকপ্রতি পার্কিং চার্জ গুণতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। এছাড়া সংরক্ষণের কোনও উপায় না থাকায় প্রতিদিন পচে যাচ্ছে পেঁয়াজের বড় একটা অংশ। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারকে রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দিতে বাংলাদেশের সহায়তা চান তারা।

সুভম দাশ নামের এক ট্রাক চালক বলেন, বাংলাদেশ ক্রয়াদেশ না দেয়ায় আজ ১২ দিন ধরে ট্রাকে পেঁয়াজ বোঝাই রয়েছে। অতিষ্ঠ হয়ে গোডাউনে খালি করার চিন্তা করছি। এরপর বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অনেক এলসি খোলা আছে। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজের আমদানি মূল্য বেড়েছে। এছাড়া আমাদের দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। তাই এখনই পেঁয়াজ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের সর্বশেষ গাড়িটি ঢুকেছে ১০ ডিসেম্বর। ওপারের বন্দরে যেগুলো বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য আনা হয়েছে, সেগুলো আমাদের বুকিং দেয়া না।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ভারত বড় দেশ। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রপ্তানি পণ্য বন্দরে আনতেই তাদের ৫-৭ দিন সময় লেগে যায়। আমরা বন্দরে পৌঁছানোর পর বুকিং দেয়। ভারত হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় যেসব পণ্য পথে ছিল, সেগুলোই মূলত আটকে গেছে। যা আমাদের বুকিংকৃত নয়। আমাদের যেসব এলসি খোলা, সেগুলো আমরা পরে প্রয়োজনমতো ব্যবহার করব।

Facebook Comments Box

Posted ২:২০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com