অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 64 বার পঠিত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নাই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা যেরকম অত্যাচার-নির্যাতনকে সহ্য করে এখনো বুক টান করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়; এই স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশিদের নাই। কারো নাই।
শুক্রবার (১০ মে) বিকালে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিবেশী দেশের দালালি করে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর বলেন, কারণ যারা নাকি অন্যায়ভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে তাদের পরিণতিটা কি বিভিন্ন দেশে ইতিহাসটা পড়েন। তাহলে বুঝবেন যত জুলুম, যত লুটপাট, যেমন আঘাত শুরু করছেন আপনার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দিয়ে শুরু করছেন, ক্ষমতাচ্যুতের পর কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার, ক্ষমা চাইবেন সুযোগ পাবেন না।
গয়েশ্বর বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলছে বিএনপি চলে রিমোট কনট্রোলে? হ্যাঁ বিএনপির রিমোট কন্ট্রোলে চলে? রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে নয়তবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমানের হাতে। আপনাদের সরকারের রিমোট কনট্রোল কার হাতে? মোদির হাতে, না অজিত দোভাল (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে না, অমিত শাহের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কনট্রোলে আপনাদের চলতে হয়।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছিলেন না সারা বিশ্বের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ষড়যন্ত্র করতেছিলো; ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকতো এই নির্বাচন আমরা করতে পারতাম না। তার মানে গণতন্ত্রের অবস্থা কি? বাই দ্য পিপল, ফর দ্যা পিপল, অব দ্যা পিপল! আর আপনাদের কথা শুনে মনে হয়, ডেমোক্রেসি মিনস বাই দ্যা ইন্ডিয়া, ফর দ্যা ইন্ডিয়া, বাই দ্যা ইন্ডিয়া! এর বেশি কিছু? মনে হয় না।
সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ টেনে দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে এর দেশকে রক্ষায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিন বিএনপির উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই সমাবেশ হয়। ট্রাক ওপর তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশের বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত বিশাল ব্যানারে লেখা ছিলো: ‘মা আমায় দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। সমাবেশের পর একটি মিছিল কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্টুরেন্ট মোড় হয়ে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Posted ১০:১৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed