
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি | রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 65 বার পঠিত
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে’ প্রার্থী হওয়ায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দলীয় প্যাডে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে তাদেরকে দলের ‘প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ’ থেকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান, এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাদের বহিষ্কারাদেশ অনুলিপি পেয়েছেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ চৌধুরী।
বহিষ্কার হওয়া বিশ্বনাথ বিএনপি নেতাদের তালিকায় রয়েছেন- ‘চেয়ারম্যান’ পদে ‘কৈ মাছ’ প্রতীকের প্রার্থী বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক গৌছ খান ও ‘দোয়াত-কলম’ প্রতীকের প্রার্থী যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ‘প্রজাপতি’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহীন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ‘তালা’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাওছার খান ও ‘চশমা’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব সরকার।
বিশ্বনাথের ৫ নেতা বহিষ্কারের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদেরকে দলের প্রাথমিক পদ’সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
গৌছ খান বলেন, রাজনীতি করায় জনগণের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা আছে। জনগণের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়েই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের চাপেই প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছেন। তবে তিনি আশাবাদী—নির্বাচনের পরে বহিষ্কৃতদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী সেবুল মিয়া জানান, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে এলাকার যুবসমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, দল যতই বহিষ্কার করুক না কেন, অন্তরে দলের জন্য জায়গা রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন স্থানীয় পর্যায়ের। দল নির্বাচনে নেই এটি ঠিক। দলের কোনো প্রতীক নিয়ে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। এ ছাড়া তৃণমূলের কর্মীরাও চাচ্ছেন যাতে তাঁরা নির্বাচনে থাকেন।
একই রকম ভাষ্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রবের। তিনি বলেন, দল নির্বাচনে নেই, এমন সময়ে তাঁদের নির্বাচনে যাওয়া ঠিক নয়, এমন মনে হলেও স্থানীয় জনগণের চাপে অনেক সময় অংশ নিতে হয়। দল যেহেতু বহিষ্কার করেছে, এখন তিনি নেতা নন, কর্মী কিংবা সমর্থক হিসেবে থাকবেন।
দলের বহিষ্কারাদেশ মেনে নিয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ কাওছার খান। বিষয়টিকে জেনেশুনে বিষপানের মতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয়তাবাদের সূতিকাগার। দলে না থেকেও তিনি দলের জন্য আরও শ্রম দেবেন।
আগেও একবার উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম। এবারও একই পদে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানান, রাজনীতি করছেন জনগণের সেবা করার জন্যই। এজন্য এবারো প্রার্থী হয়েছেন। তবে বিএনপির অধীনেই রাজনীতি করে যাবেন।
Posted ৯:৪৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed