মঙ্গলবার ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

চুয়াডাঙ্গায় দুপক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত

অনলাইন ডেস্ক   |   শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   37 বার পঠিত

চুয়াডাঙ্গায় দুপক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত

চুয়াডাঙ্গায় দুপক্ষের সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম (৫০) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

রফিকুল তিতুদহ গ্রামের মৃত রহিম বকশের ছেলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

টিসিবির কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান। এ সময় রফিকুলের বড় ভাই শফিকুল ইসলামসহ আরও চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয় বলে অভিযোগকারীরা জানান।

আহতরা হলেন- রফিকুলের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম, মৃত আবু বক্করের ছেলে আবদুল আলিম ও একই উপজেলার হুলিয়ামারী গ্রামের মৃত শরবত মণ্ডলের ছেলে আইনাল হক।

আহত শফিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন। অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবির কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন গ্রুপ ও সাংগঠনিক রফিক গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরই জের ধরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি কোপে ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলাম নিহত হন।

দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ছিলেন প্রতিবাদী। ওই ইউনিয়নের সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক টোটনের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে জীবন দিতে হলো।

তিনি আরও জানান, বিএনপি একটা বড় দল। এখানে নেতৃত্বের লড়াই থাকবে, মতভেদ থাকবে তাই বলে কাউকে মেরে ফেলতে হবে, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দল অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, আহত চারজনের মধ্যে শফিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথা ফেটে গেছে। সার্জারি বিশেষজ্ঞ তার মাথায় অস্ত্রোপচার করছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস বলেন, টিসিবির কার্ড বণ্টনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপরই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই রফিক নামে একজন মারা যান। কয়েকজন আহতও হয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Posted ৭:৩৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com