বৃহস্পতিবার ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

জগন্নাথপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রবাসীকে বেদখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি   |   শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   36 বার পঠিত

জগন্নাথপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রবাসীকে বেদখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার এক উপপরিদর্শকের সহযোগিতা নিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে বেদখল করার চেষ্টার অভিযোগ ও আওয়ামী লীগ নেতা মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নজরুল ইসলাম এমন অভিযোগ করেন।

ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নজরুল ইসলাম। তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর চাচাতো ভাই বদরুল ইসলাম।

জগন্নাথপুর পৌরসভার ইসহাকপুর এলাকার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা বাবা আজিম উল্যার মৃত্যুর পর আমরা চার ভাই ও এক বোনের পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক। আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশে আসলে আমরা চাচাতো ভাই বদরুল ইসলামের নিকট থেকে ঘরের চাবি নিয়ে আমাদের পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করি। আবার দেশ থেকে চলে গেলে চাচাতো ভাই বদরুল ইসলামের কাছে চাবিটি রেখে যাই। বহুদিন ধরে এই নিময়ই চলছিল। কিন্তু গত ১ এপ্রিল আমার বড় ভাই ইসলাম উদ্দিনের কথা মতে একই গ্রামের বকুল মিয়া আমাদের ঘরে ঢুকতে চাইলে আমার কথা মতো বদরুল ইসলাম এতে বাধা দেন। এ সময় ইসলাম উদ্দিনের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন অস্ত্র স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বদরুল ইসলামকে হুমকি দেন। বিষয়টি থানায় জানালে জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহসান ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। এরপর থেকে ওই এসআই সাব্বির আহসান আমাদের ঘরের চাবি নিতে চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি ওই এসআই আমাকে ও আমার চাচাতো ভাইকে মুঠোফোনে দূব্যবহার ও মামলার হুমকি দেন। এরই জেরে ১৩ এপ্রিল বকুল মিয়া বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় মারধর, ল্যাপটপ ও স্বর্ণের চেইন লুটপাটের অভিযোগ এনে আমার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল ইসলাম ও তাঁর দুই ভাইয়ের ওপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে বদরুল ইসলামকে ভবের বাজারের নিজ দোকান থেকে ১৪ এপ্রিল রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী নজরুল ইসলাম আরও বলেন, বদরুল ইসলাম একজন শিক্ষানুরাগী তিনি ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির চারবারের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একজন ব্যবসায়ী। কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এমনকি মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার ও উপপরিদর্শক সাব্বির আহসানের বেআইনি তৎপরনার বিচার চাই।

Facebook Comments Box

Posted ৭:৫৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com