মঙ্গলবার ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

‘রামাদ্বানের সিয়াম সাধনা : গুরুত্ব ও তাৎপর্য’

মাওলানা মুফতি মো. আবু সাঈদ সৈয়দ   |   শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   60 বার পঠিত

‘রামাদ্বানের সিয়াম সাধনা : গুরুত্ব ও তাৎপর্য’

সিয়াম বা রোজা ইসলামের তৃতীয় রোকন। আরবী মাস সমূহের মধ্যে রমজান নবম মাস, সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি অর্জন করা যায়।
“রমজান শব্দটি ‘রমজ’ ধাতু থেকে নিষ্পন্ন, এর আভিধানিক অর্থ উত্তাপ, তাপাধিক্য, তাপের উচ্চ মাত্রা, দগ্ধ করা, তাপ-দগ্ধ করে পুড়িয়ে দেয়া।
আর অনুরূপ সিয়ামও আরবী শব্দ “সাওম” মূল ধাতু হতে উৎপন্ন, যার আভিধানিক অর্থ-বিরত থাকা, বারন করা বা ফিরিয়ে রাখা।
শরিয়াতের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস হতে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়। (কাওয়ায়িদুল ফিক্হ)।
সিয়ামের উদ্দেশ্য :
সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন করা। আল্লমা হাজার আস কালানী সিয়ামের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখেন- “সিয়ামের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষকে তার পাশবিক ইচ্ছা ও জৈবিক অভ্যাস থেকে মুক্ত করা এবং জৈবিক চাহিদার মধ্যে সুস্থতা ও স্বাভাবিকতা প্রতিষ্ঠা করা। হযরত ইমাম গাজ্জালী (রা.) ইয়াহইয়াউল উলুম গন্থে লিখেন-‘আখলাকে ইলাহী তথা ঐশ্বরিকগুণে মানুষকে গুণন্বিত করে তোলাই সিয়ামের উদ্দেশ্য।
আল-কুরআনে মাজিদে সিয়াম :
রমাজান ও সিয়াম সম্পর্কে আল-কুরআনে চারটি সুস্পষ্ট আয়াত নাযিল হয়েছে।
স্বল্প পরিসরে এ আয়াত সমূহে সিয়াম এর ইতিহাস, তাৎপর্য ও বিধি-নিষেধ বিবৃত হয়েছে। রমাজান মাসের সিয়াম পালন করবার নির্দেশ দ্বিতীয় হিজরীর শাবান মাসে ৬২৪ খ্রিঃ ফেব্র“য়ারি মাসে নাযিল হয় ‘মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন’-
(১) ইয়া আইয়ুহাল্ললাযীনা আমানু কুতিবা আলয়কুমুস্ সিয়ামু কামা কুতিবা আলাল্লাযীনা মিন্ কাবলিকুম লাআল্লাকুম তাত্তাকুন।
(সূরা বাকারাহ- ১৮৩)
অর্থাৎ- “হে ইমানদার গণ! তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের উপর যেভাবে রোজা ফরজ করা হয়েছিল, তদ্রুপ তোমাদের উপরও রোজাকে ফরয করে দেয়া হলো, তাতে তোমরা মুত্তাকী ও পরহেজগার হতে পারবে। অনুরূপভাবে পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারাহ্ ১৮৪, ১৮৫, ১৮৭নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সিয়ামের বিধি-বিধান ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত নবী কারিম (সা.) বলেছেন- “প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, শরীরের যাকাত হচ্ছে রোজা।” (ইবনে মাজাহ্)
সিয়াম বা রোজার হাকীকত :
পবিত্র রোজার মাসের আসল হাকীকত হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অবতরণের সৃতিকে চিরস্থায়ী করা ও কুরআন আনয়নকারী হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ। রোজার হাকীকত তিনটি জিনিসের সমন্বয়ে গঠিত।
(ক) তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি,
(খ) আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও পবিত্রতা বর্ণনা এবং
(গ) তাঁর শোকর ও কৃতজ্ঞতা আদায়।
সিয়ামের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য :
পবিত্র কুরআন মাজিদ ও হাদিস শরীফ গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, সিয়াম বা রোজা পালনের ভিতর অনেক হিকমত বা ফজিলত রয়েছে। নিম্নে তুলে ধরা হলো।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে হুযুর আকরাম (সা.) এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতকে রমজান শরীফের ব্যাপারে এমন পাঁচটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে, যা আর অন্য কোনও উম্মতকে প্রদান করা হয়নি।
সেগুলো হলো:
(ক) রোজাদারের মুখ থেকে যে খুশবু বেরোয় তা আল্লাহ্ পাকের নিকট কস্তুরী থেকেও অধিকতর পছন্দনীয়।
(খ) রোজাদারের জন্য সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে এবং ইফতারের সময় পর্যন্ত তারা দোয়া করতে থাকে।
(গ) প্রতিদিন জান্নাতকে রোজাদারের জন্য সুসজ্জিত করা হয়। মহান আল্লাহ্ পাক বলেন, “আমার নেক বান্দারা দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট পশ্চাতে রেখে অতি শিগগিরই আমার নিকট আসবে।”
(ঘ) রমজানের দুর্বৃত্ত শয়তানকে বন্দি করা হয়। ফলে সে রমযানে সে সমস্ত অন্যায়ের দিকে ধাবিত হতে সক্ষম হয়না, যা রমজান ব্যতীত অন্য সময়ে সক্ষম হয়।
(ঙ) রমজানের শেষ রাতে আল্লাহ্ পাক রোজাদারদেরকে মাগফিরাত দান করেন।
অন্য হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে-“নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘যদি মানুষ জানতো যে, রমযানের সত্যিকার মাহাত্ম্য কি? তবে আমার উম্মত আকাক্সক্ষা করতো যেন সারা বছর রমজান হয়।” হাসিদে আরো উল্লেখ আছে-“আল্লাহ্ পাক তাঁর আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের নির্দেশ দান করেন তোমাদের নিজস্ব ইবাদত মুলতবী রাখ এবং রোজাদারদের দোয়ার সময় আমীন বলতে থাক।”
হযরত নবী করিম (সা.) আরো উল্লেখ করেন, “রোজাদারের উচিত মিথ্য কথা থেকে বিরত থাকা, কেউ যদি কারো সাথে ঝগড়া করে এবং গালি-গালাজ করে, তবে তার বলা উচিত ‘ভাই আমি রোজাদার, তোমার গালির জওয়াব আমি দেব না।’ এছাড়া আরো বেশকিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় যেমন-
(১) রমজান মাসের আগমনে আসমানের দুয়ার খুলে দেয়া হয়, (বুখারী শরিফ)।
(২) ইফতার রমাজানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। রোজাদার যখন ইফতার সামনে মহান আল্লাহ্র কাছে দোয়া করে তখন আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। (৩) সিয়াম পালনকারীর
রোজা, মুমিনের ঢাল স্বরূপ।
(৪) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব মহা গ্রন্থ আল-কুরআন রমজান মাসে কদরের রাত্রে নাযিল হয়। তাই এটি কুরআনের মাস।
(৫) রোজাদারের সামনে বেহেশতে “রাইয়ান” নামক একটি বিশেষ দরজা হবে। ঐ দরজা দিয়ে তাঁরা বেহেশতে প্রবশে করবে।
(৬) এই মাসের প্রথম দশ দিন রহমত, মাঝের দশ দিন ক্ষমা এবং শেষের দশ দিন দোযখ থেকে মুক্তির জন্য।
(৭) এই মাসে নফল ইবাদত ফরযের সমান এবং একটা ফরয ইবাদত অন্য মাসের ৭০টি ফরজের সওয়াবের সমান।
(৮) রমাজান হচ্ছে জিহাদের মাস। এই মাসে মুসলমানদের বড় বড় ঐতিহাসিক বিজয় সাধিত হয়েছে।
বিশেষ করে ১৭ রমাজান “বদর” সংঘটিত হয়েছিল।
(৯) কোন রোজাদারকে ইফতার করালে রোজাদারের রোজার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে যদিও রোজাদারের সওয়াবের কোনো ঘাটতি করা হবে না। এই বিধান এই জন্য করা হয়েছে যেন গরীব সারা দিন না খেতে এটকু ভাল ইফতারী করতে পারে এবং ধনীরা ইফতার দানে অতি উৎসাহিত হন।
(১০) এই মাসে শেষ দশকে বেজোড় রাত্রে ‘শবে কদর’ রয়েছে যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। এই রাত্রে ইবাদত করলে ৮৪ বছর ৪ মাস ইবাদতের সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়।
(১১) এই মাসে, দান সাদকা, ফিতরা ও ইতিকাফ করার মাস। যার মাধ্যমে রোজার ত্র“টি বিচ্যুতি দূর করা হয়।
(১২) এই মাসে কেউ যদি উমরাহ আদায় করে, তবে সে হজের সমান সওয়াব করতে পারবে।
(১৩) রোজার মাধ্যমে পেটের যাবতীয় অসুখ ও ডায়বেটিসসহ বহু শারীরিক রোগের চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ লাভ করা যায়।
(১৪) রোজার উপবাসের মাধ্যমে ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর অভাবী মানুষের দুঃখ বোঝা সহজ হয়।
(১৫) সিয়াম সাধনার মাস রমজান হচ্ছে হুরের সাথে রোজাদারদের বিয়ের মাস।
(১৬) রমজান মাসের রোজা অতি গোপনীয় ইবাদত। সব ইবাদত দেখা গেলেও মাহে রমাজান ‘রোজা’ দেখা যায় না।
(১৭) রমজান মাসে ‘কদরের রাত্রে স্বয়ং’ মহান আল্লাহ্ তায়ালা জান্নাতের ভিতর একটি বৃক্ষ রোপণ করেন। (হাদিসে কুদসী)
(১৮) আকাশে চাঁদ দেখে রোজা রাখা হয়, আবার চাঁদ দেখে রোজা ভঙ্গ করে দেয়া হয়।
(১৯) সিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দের সময়, একটি হলো ইফতারের সময় আর অপরটি তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের সময়। (রোখারী ও মুসলিম)
(২০) রাসূলুল্লাহ্ (সা.) রমজান মাসে জিবরাইল (আঃ) কে সমগ্র কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। তাছাড়া অন্যন্য আসমানি কিতাব যেমন অসংখ্য সহিফা তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল, এই মাহে রমযানে অবতীর্ণ হয়।
(২১) রমজান সবর ও ধৈর্যের এবং তাকওয়া আল্লাহ্ ভীতি অর্জনের মাস।
(২২) মাহে রমজানে আরশের নিচ দিয়া এক প্রকার ‘মাছিরা’ নামে বাতাস প্রবাহিত হয়, এবং জান্নাতের বৃক্ষ সমূহকে দোলা দিয়ে সুন্দর একটি আওয়াজ তোলে, যে আওয়াজ কেহ্ কোন দিন শুনে নাই।
মাহে রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় :
এই মাহে রমজানের চারটি কাজ অবশ্য করণীয়। (১) কালেমায় শাহাদাৎ পাঠ করা
(২) অধিক পরিমানে ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা
(৩) জান্নাতের আশা করা
(৪) দোযখ থেকে পরিত্রানের প্রার্থনা করা। এছাড়া ও সিয়াম বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য বিশেষভাবে সে পাপগুলি বর্জন করা প্রয়োজন তাহলো :
* মিথ্যা কথা ও মিথ্যা সাক্ষ্যদান থেকে বিরত থাকা;
* * অসাক্ষাতে নিন্দা চর্চা (গিবত) থেকে বিরত থাকা;
* * যেভাবে হউক না কেন হারাম খাদ্য ভক্ষণ করা যাবে না;
* * চক্ষুকে কু-দৃষ্টি থেকে ফিরিয়ে রাখা;
* * রসনাকে অশ্লীন ও আলোচনা শ্রবণ থেকে ফিরিয়ে রাখা;
*কর্ণ, হাত, পা ইত্যাদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি পাপের মিশ্রণ থেকে দূরে রাখা; বিশেষ করে ইফতারের সময় হারাম বস্তু দ্বারা বা হারাম অর্থ দ্বারা ইফতার না করা। ইত্যাদি।
*এছাড়া বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করা। যিকির, নফল নামাজ পড়া গরীবদের যাকাত, ফিতরা ও সাদকা প্রদান করা।
* রোজাদারকে ইফতারী করালে অনেক সওয়াব অর্জন করা যায়, যেমন হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে আহার করাবে, আল্লাহ পাক তাকে আমার হাউজ
*(হাউজে কাউসার) থেকে পানি পান করাবেন। এরপর জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত সে আর তৃষ্ণাত্ম হবে না।
সিয়াম সাধনার গুরুত্ব : রামাদানের নের সিয়াম সাধনায় মু’মিনকে সবর ও সহিষ্ণুতার অগ্নিদহনে কুপ্রবৃত্তি দুগ্ধ করে, সংযম ও কৃচ্ছতার উত্তাপে রিপু সমূহ পুড়িয়ে মানব অন্তরকে পরিশোধিত করে, বিশুদ্ধ মানুষরূপে ইনসানে কামিলরূপে গড়ে তোলার সহায়তা করে। সিয়াম ত্যাগ তিতিক্ষা ও আত্মসংযমের প্রশিক্ষণ দেয়। সিয়াম শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা ও সুস্থতা এনে দিয়ে আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথপরিচ্ছন্ন করে।
এছাড়াও মানুষের জৈবিক চাহিদার মধ্যে দু’টো জিনিস রয়েছে। একটি পশুত্ব, আর অপরটি মানুষ্যত্ব।
পশুত্ব সে খানে মানুষকে পশুর অধম বানিয়ে তোলে, সে খানে মানুষ্যত্ব তাকে সত্যাশ্রয়ী মহামানবের আসনে সমাসীন করে।
অতএব, লক্ষণীয় মানসিক উন্নতিই মুনষ্যতের মাপকাটি।
*সিয়াম আমাদের পশুত্ব দমন করে নফসকে সঠিক পথে পরিচালনা করে। মানব প্রবৃত্তিকে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ্, মদ, মাৎসর্য যড়রিপুর তাগিদ মানুষকে মানবীয় মর্যাদা থেকে পশুত্বের স্তরে নামিয়ে আনে।
অবাধ্য দুর্দম জন্ডগুলোকে যেমন অনাহারে রেখে বশে আনা যায়, অনুরূপ মানুষকে ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালায় ফেলে তাকে বশীভূত করা যায়। * হযরত যুননুন মিসরী (রা.) বলেন, যখনি আমি তৃপ্তি সহকারে আহার করতাম, তখনি কোন- না কোন পাপ কাজ হয়ে তেন।”
ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ :
রমজানে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে গুনাহ্ মাফ হয়। জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তিলাভ করা যায়। ইবাদতের মৌসুম এই মাসে ১টি পূণ্য কাজ বা আমল ১ থেকে সাতশ’ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। রোজাদার ব্যক্তির দোয়া মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। হযরত নবী কারিম (সা.) এরশাদ করেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয়না।
(১) ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া,
(২) ন্যায় বিচারকের দোয়া,
(৩) মজলুম ব্যক্তির দোয়া, মহান আল্লাহ্ পাক তার দোয়া মেঘের উপর উঠাইয়া নেন। আকাশের সমস্ত দরজা তার জন্য খুলে যায় এবং বলা হয় আমি নিশ্চয়ই তোমার সাহায্য করিব। যদিও বিলম্ব হয়। (মুছনাদে আহমাদ)
প্রশিক্ষণ কোর্সের মাস :
দীর্ঘ একটি মাস অর্থাৎ ৭২০ ঘণ্টা সময় এই ক্ষুধার ট্রেনিং নিয়ে মানুষ আত্ম সংযম ও রিপু দমন করে ধৈর্য ও সহানুভূতির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রতি নিয়ত সাহরী, জামাতে সালাত আদায় ভোরবেলা পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের সময় মতন ইফতারী রোজার শেষ দশকে ইতিকাফ এর মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়। এই মাহে রমাজানের সিয়াম সাধনার প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে বাকী ১১ মাসে কাজে লাগিয়ে ইবাদতের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করা যায়।
সারকথা হলো, মাহে রমজানে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করে জান্নাতলাভ করার সুযোগ পেতে পারি, আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সেই তাওফিক দান করুক। আমিন ছুম্মা আমিন।

লেখক: সুপার, হাতিয়া নাচনী বেতাউকা পীর আকিল শাহ নেছারিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা, দিরাই, সুনামগঞ্জ।

Facebook Comments Box

Posted ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

গরিবের হক যাকাত
(736 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com