শুক্রবার ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ভুল চিকিৎসায় কুমিল্লায় একজনের অঙ্গহানির অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি   |   শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   53 বার পঠিত

ভুল চিকিৎসায় কুমিল্লায় একজনের অঙ্গহানির অভিযোগ

ফাইল ছবি

জেলার নাঙ্গলকোট থানার হেসাখাল গ্রামে মিজানুর রহমান নামে এক হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আলী হোসেন ভূঁঞা নামে এক ব্যক্তির অঙ্গহানির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগির ছেলে সুহৃদ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে মিজানুর রহমানকে আসামী করে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৫নং আমলি আদালতে গত ১০ জুলাই উপস্থিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ৩২৬/৩২৮/৪১৭/৪২০ ধারায় দায়েরকৃত ৮৩১/২৪ নং মামলাটি বর্তমানে পিবিআই’র তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগি আলী হোসেন ভূঁঞা বেশ কিছু দিন থেকে বাম হাতের কব্জির ব্যথায় ভুগছিলেন। তাই গত ১৭ মে নিজ গ্রাম হেসাখাল বাজারে বসা লাকসাম থানার রাজাপুর গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার মিজানুর রহমানের শরনাপন্ন হন। মিজান অজ্ঞাত ইনজেকশন হাড়ের জোড়ার পরিবর্তে রক্তনালীতে পুশ করে দেন। ভুক্তভোগি সঙ্গে সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়েন এবং তার বাম হাতের প্রথম তিনটি আঙ্গুলে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তিতে রোগি চেতনা ফিরে পেলে মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সাদা কাগজে কিছু এন্টিবায়েটিক ওষুধ লিখে দেন। তাতেও কোনো ফল না পাওয়ায় রোগি ২০ মে লাকসামের স্থানীয় ক্লিনিক লিট হেলথ কেয়ারে ভর্তি হন। সেখানেও আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় তিনি ২৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা করে জানা যায়, ভুল ইনজেকশনের কারণে তার বাম হাতের প্রথম তিনটি আঙ্গুল ডিজিটাল গ্যাংরিনে আক্রান্ত হয়। অবশেষে গত ১৩ জুন ঢাকা মেডিকেলের মেডিসিন, ভাসকুলার ও অর্থোপেডিক্স বিভাগের সমন্বিত সিদ্ধান্তে আক্রান্ত তিনটি আঙ্গুল অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে অপসারণ করেন অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের মেডিসিন অফিসার ডা. মো. দেলোয়ার রহমান। ১৯ জুন ঢাকা মেডিকেল তাকে ছাড়পত্র দিলেও তিনি ক্ষতস্থানের ইনফেকশন নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে অদ্যাবদি চিকিৎসাধীন আছেন।

এ প্রসঙ্গে ভু্ক্তভোগির ছেলে মামলার বাদী সুহৃদ জাহাঙ্গীর জানান, মিজানুর রহমান মূলত একজন ভুয়া ডাক্তার। চিকিৎসাশাস্ত্রে তার তেমন কোনো একাডেমিক সার্টিফিকেট বা প্রশিক্ষণ নেই। যে কারণে তার অপচিকিৎসায় এলাকায় আরো রোগির ক্ষতিগ্রস্থের প্রমাণ রয়েছে। তার বাবা তাদের অজান্তে মিজানের অপচিকিৎসায় অঙ্গহানির শিকার হন। সুহৃদ জাহাঙ্গীর তার বাবার অপচিকিৎসা ও অঙ্গহানির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়সহ মিজানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। যাতে করে আর কেউ যেন তার অপচিকিৎসার শিকার না হন। এ বিষয়ে আসামী মিজানুর রহমানের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে বারবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

Facebook Comments Box

Posted ৯:৫১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com