বৃহস্পতিবার ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

ওসমানীনগরে শিল্পকারখানা স্থাপনে বাধা, চাঁদা দাবি

অনলাইন ডেস্ক   |   বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   68 বার পঠিত

ওসমানীনগরে শিল্পকারখানা স্থাপনে বাধা, চাঁদা দাবি

ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানীনগরে প্রবাসী অর্থায়নে শিল্পকারাখানা স্থাপনে বাধা দিচ্ছে একটি চাঁদাবাজ চক্র। ওই চক্রের সদস্যরা বিনিয়োগকারীর কাছে বড় অংকের টাকা চাঁদা দাবি করছে। তাছাড়া শিল্পকারখানার সাথে সম্পৃক্তদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি, নির্যাতন করার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দিচ্ছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্থাপনাধীন শিল্পকারখানা আলিনা ইন্ডাস্ট্রির সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) জনি চন্দ্র রায়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ওসমানীনগর উপজেলার লামা ইসবপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ হিরা মিয়া নিজ এলাকায় একটি বহুমুখি শিল্পকারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিছুদিন পূর্বে সকল আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে স্থানীয় বড় ইসবপুর গ্রামস্থ নিজ মালিকানাধীন জমিতে শিল্পকারখানা ‘আলিনা ইন্ডাস্ট্রি’ স্থাপন কাজ শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে ইন্ডাস্ট্রির অবকাঠামোর কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও ক্রয় করা হয়েছে। এ অবস্থায় ওই শিল্পকারখানার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুকিত মিয়া ও তার নেতৃত্বাধীন চাঁদাবাজ চক্রের। একপর্যায়ে বড় ইসবপুর গ্রামের মুকিত মিয়া বড় অংকের চাঁদা দাবি করেন। তার নেতৃত্বে একই গ্রামের মুনিম মিয়া, আনহার আলী, মানিক মিয়া, শানুর মিয়া, গপ্পার সিকদার, মানিক সিকদার এবং লামা ইসবপুর গ্রামের আব্দুর রউফ ও ফজরুল আলীসহ চাঁদাবাজ চক্রের আরো ১০/১৫ জন সদস্য ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে। এমন কি তারা তাকে ও তার সাথে থাকা দক্ষিণ সুরমার তেতলী মাঝপাড়ার শরিফ উদ্দিনকে ইন্ডাস্ট্রি তথা এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। এমনকি চলে না গেলে দু’জনকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।

 

 

জনি রায় বলেন, বিষয়টি আলিনা ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক প্রবাসী মোহাম্মদ হিরা মিয়াকে অবগত করা হলে তিনি ইউপি সদস্য মুকিত মিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। তাদের মধ্যে কথাবার্তার একপর্যায়ে মুকিত মিয়া ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় সেখানে ইন্ডাস্ট্রি চালু করা যাবে না বলে হুমকিও দেন মুকিত মিয়া।

জনি বলেন, একদিন মুকিত মিয়া তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বললে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে শরিফ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত সহযোগীদের সামনে মুকিত মিয়া বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির কাজ বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলেন।

পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর সকালে মুকিত মিয়ার নেতৃত্বে মুনিম মিয়া, আনহার আলী, মানিক মিয়া, শানুর মিয়া, গপ্পার সিকদার, মানিক সিকদার এবং লামা ইসবপুর গ্রামের আব্দুর রউফ ও ফজরুল আলীসহ আরো ১০/১৫ জন লোক
ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে গেইটে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে গেইট খুলে দেয়া হলে তারা ভেতরে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এসময় মুকিত মিয়া আবারও ইন্ডাস্ট্রির কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ার জন্য বলেন। তবে ইন্ডাস্ট্রি চালু করতে হলে ওই সময়ই ৪ লাখ টাকা এবং ৬ মাস পর পর আরো ৪ লাখ টাকা করে দিতে হবে বলে হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে কারো সাথে কথা বললে হত্যা করা হবে বলেও তারা হুমকি দেয়।

বিষয়টি ওসমানীনগর থানাকে অবগত করা হলেও মুকিত মিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি উল্লেখ করে জনি রায় বলেন, এভাবে শিল্পকারখানা স্থাপনে বাধা দেয়া হলে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

ওই চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

Facebook Comments Box

Posted ১০:০৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com