গাজীপুর প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 69 বার পঠিত
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার করে স্বামীর প্রথম সংসারের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে সৎমায়ের বিরুদ্ধে। পরে লাশ নিজ ঘরের সানসেটের ওপরে কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সৎমা আয়না আক্তারকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম মিম আক্তার (৮), সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার গাবামাসি গ্রামের সবুজ মিয়ার প্রথম সংসারের মেয়ে। সে পিতা-মাতার সঙ্গে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার সোজাবর আলীর ভাড়া বাসায় থাকত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সবুজ মিয়া উপজেলার হরিণহাটি এলাকার সোজাবর আলীর ৬তলা ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষ ভাড়া করে প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগমকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন। প্রায় দেড় বছর আগে সবুজ মিয়া আয়না আক্তার নামে এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর সবুজ মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রীকে একই ভবনের পঞ্চম তলায় আরেকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে রাখেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সবুজ মিয়ার ঝগড়া হয়। একপর্যায় বুধবার সকাল থেকে সবুজ মিয়ার প্রথম সংসারের মেয়ে মিম আক্তারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাইকিং শুরু করে। এ, সকাল থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী আয়নাকে দেখতে না পেয়ে একই ভবনের প্রতিবেশীরা আয়নার খোঁজ করেন। তারা আয়নার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ভেতরে আয়নাকে বসে থাকতে দেখেন।
এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে ডাকাডাকি করলে আয়না ঘরের দরজা খুলে দেন। পরে তার ভিতরে প্রবেশ করে রুমের সানসেটের ওপরে কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় শিশু মিমের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
কালিয়াকৈর থানা-পুলিশ ঘটনাস্হলে এসে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সৎমাকে আটক করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক জুয়েল বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে প্রথম স্ত্রীর ঘরের সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Posted ৯:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed