অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 71 বার পঠিত
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ, শামসুল উলামা হযরত আল্লামা আবদুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী (র.)-এর ১৬তম ওফাত বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে জকিগঞ্জের ফুলতলী ছাহেববাড়ি সংলগ্ন বালাই হাওরে অনুষ্ঠিত হবে বিশাল ঈসালে সওয়াব মাহফিল। সকাল সাড়ে ১০টায় আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর মাযার যিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হবে মাহফিলের কার্যক্রম। এরপর খতমে কুরআন ও দুআর মাধ্যমে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। এতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে বুখারী, খতমে খাজেগান, দালাইলুল খায়রাত শরীফের খতম, যিকর মাহফিল, বিষয়ভিত্তিক বয়ান ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা। মাহফিলে তা’লীম-তরবিয়ত প্রদান করবেন আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরী উস্তাযুল উলামা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী। মাহফিল উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মাহফিলে প্রখ্যাত পীর-মাশায়িখ, আলিম-উলামা, ইসলামী শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
হযরত আল্লামা ফুলতলী (র.) উপমহাদেশে সুপরিচিত এক মহান ব্যক্তিত্ব। ১৯১৩ সালে জকিগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী ফুলতলীতে তাঁর জন্ম। প্রায় শতবর্ষব্যাপী জীবন অতিবাহিত করে ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন। এ দীর্ঘ জীবনে তিনি দীনের বহুমুখী খিদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। ইলমে কিরাতের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনন্য ও বিশ্ববিখ্যাত। ইলমে হাদীসের খিদমতে তাঁর রয়েছে পৌনে এক শতাব্দীর প্রোজ্জ্বল ইতিহাস। সমাজের অসহায়-দুঃস্থ মানুষের সেবায় তাঁর রয়েছে বহুবিধ খিদমত। তিনি সারাটি জীবন মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করেছেন বিভিন্নভাবে। তিনি একজন সুলেখক ও সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। ইলমে কিরাত ও ইলমে হাদীসের খিদমতের পাশাপাশি তাযকিয়ায়ে নফস বা ইলমে তাসাওউফের ক্ষেত্রে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করেছেন। অগণিত মানুষ তাঁর হাতে বায়আত হয়ে আল্লাহপ্রাপ্তির পথে এগিয়ে গেছেন। তিনি ওয়ায, যিকিরের তা’লীম, খানকা মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার সারাজীবন প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।। ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তিনি দেশ-বিদেশে অনেক মসজিদ-মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ঈসালে সাওয়াব মাহফিল উপলক্ষ্যে লাখো মুসলিম জনতাকে বরণ করতে প্রস্তুত হয়েছে বালাই হাওর। জকিগঞ্জ-আটগ্রাম রোডে রতনগঞ্জ বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকে গাড়ি পার্কিং-এর জন্য বৃহৎ পরিসরে দশটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। রতনগঞ্জ বাজার থেকে ছাহেববাড়ি অভিমুখী রাস্তার মুখে মোটর সাইকেল রাখারও সুব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বিক শৃঙ্খলার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ ও দায়িত্ব বণ্টনও সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মাহফিলকে সফল ও স্বার্থক করে তুলতে ঈসালে সাওয়াব মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে সর্বস্তরের মুসলিম জনতার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
Posted ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed