
অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | প্রিন্ট | 54 বার পঠিত
টিকিট সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছে এসোসিয়শেন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ (আটাব), সিলেট। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটে আটাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় লিখিত বক্তব্যে আটাব সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান বলেন, আটাবের নামে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও বর্তমান কমিটি বাতিলের কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মূলত এয়ার টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আটাব দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করায় বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। অথচ এই কমিটি আটাবের সকল সদস্যদের ব্যবসা করার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এয়ার টিকিট মার্কেটকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এতেই তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, কারণ যারা এই মিথ্যা, বানোয়াট প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তাদের সকলে এই টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িত।
টিকিটের অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্য ও কৃত্রিম আসন সংকট নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি আটাব সংবাদ সম্মেলন করে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। যা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারের দৃষ্টিগোচর হলে এয়ারটিকিট সিন্ডিকেট ভেঙে টিকিটের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং একটি পরিপত্র জারি করে। এ ক্ষেত্রে আটাকের বর্তমান কমিটি সরকারকে সার্বিক সহযোগীতা করে। ফলে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা টিকিট ব্যবসায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমান আটাব কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে। পরিপত্র জারির পর থেকে টিকিট সিন্ডিকেট মহল মিডিয়াকে বিভ্রান্ত করে নানা রকম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান আটাব কার্যনির্বাহী কমিটি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট নয়, এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন উল্লেখ করে আটাব নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট হতো, তাহলে অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিদের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতো, নতুবা সদস্যদের দ্বারা দায়িত্ব থেকে পদচ্যুত করা হতো।
সেই সাথে তারা আরো বলেনৈ, স্বার্থের দ্বন্দ্বে জুলাই অভ্যুত্থানের ৮ মাস পর সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আটাবের বর্তমান কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তকমা দিয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের আটাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। যারা বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আমরা আওয়ামী লীগ হলে তারা আমাদের সাথে যুক্ত হতেন না।
সর্বপরি ট্রাভেল এজেন্সি ট্রেড সংক্রান্ত বিষয়ে উন্নয়ন, আটাব সদস্যদের কল্যাণ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দাবি দাওয়া আদায়ে সরকারের সাথে মিলেমিলে যখন এই কমিটি কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই, একজন সাধারণ সদস্য গোফরান চৌধুরী, যিনি এই সিন্ডিকেট চক্রের (একজন সদস্যের আপন ভাই) তার একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন আবেদনকে আমলে নিয়ে আটাবের বর্তমান কমিটি কেন বাতিল করা হবে না, মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, যার জবাব সাত দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। কোনো প্রকার সত্যতা যাচাই ছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
পরিশেষে এয়ারটিকিটের মূল্য দ্বিগুন, তিনগুন করার সাথে যে সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি, এয়ারলাইন্স জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আটাব সর্বদা স্বোচ্ছার হয়ে সিন্ডিকেট বন্ধে সরকারের সাথে সহযোগী হয়ে আটাব কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তারা।
প্রতিবাদ সভায় আটাব সিলেট অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান রুশো চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, আটাব সিলেট অঞ্চলের সাবেক চেয়ারম্যান আলহ্বাজ আতাউর রহমান। আটাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হক, খন্দকার সিপার আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, মনসুর আলী খান, মোতাহার হোসেন বাবুল, জহিরুল কবীর চৌধুরী শিরু, সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুল কাদির, তাজুল ইসলাম, মহিবুল হক, ইশরার আহমদ রণি, আব্দুল ওয়াদুদ, আতিকুর রহমান, আব্দুল মালিক, তৈয়বুর রহমান নান্নু, মিসবাউল করীম, মোজাম্মেল হোসেন রুবেল, আবুল কালাম মিঠু, মামুনুর রশীদ, নিপেন্দ্র কুমার দাস, মো. তাজ উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, তানভীর আহমদ চৌধুরী, হারুনুর রশিদ তালুকদার প্রমুখ।
Posted ১১:১৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed