শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি | রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 48 বার পঠিত
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়ে মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিলে নিজ উদ্যোগেই তারা অবরোধ কর্মসূচি তোলে নেন। পরে উভয় পাশের যানজট মুক্ত করতে ট্রাফিকের ভূমিকা পালন করেন।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ডুংরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শান্তিগঞ্জ বাজার হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহা সড়কে উঠলে আব্দুল মজিদ কলেজ, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, জয়কলস উজানীগাঁও রশিদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসা সহ হাজারো শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক হয়ে আব্দুল মজিদ কলেজ ও সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে সড়ক অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের অবহেলিত সুনামগঞ্জে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেছেন এম এ মান্নান। তিনি সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন। সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, শিল্প ও কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), আজিজুন নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট সহ অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। তিনি একজন সৎ, স্বজ্জন রাজনীতিবিদ। আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এম এ মান্নান সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। তিনি বিভিন্ন টকশোতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনে আমাদেরকে তিনি ব্যাপক ভাবে সহযোগিতা করেছেন। সুনামগঞ্জে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এরকম সৎ, আদর্শবান মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে তার প্রতিবাদে ও এম এ মান্নানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আমরা বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি। এম এ মান্নানকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আগামীতে আরো বড় কর্মসূচি পালন করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গেল চার আগস্টে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহত দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে দুই সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নামোল্লেখ করে ২০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট এক নম্বর ও এম এ মান্নানকে দুই নম্বর আসামী করা হয়েছে। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় এম এ মান্নানকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বার) এম এ মান্নানকে আদালতে মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। ঐ দিনই সকাল ১০টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজার চত্বরে, এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা এম এ মান্নানকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় ১ ঘন্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখে তারা।
প্রসঙ্গত. ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এম এ মান্নান আওয়ামী লীগের দলীয় র্প্রাথী হন। সইে নির্বাচনে ধানরে শীষ প্রতীকে শাহনিুর পাশা চৌধুরী ৫৬ হাজার ৪৭১ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদন্দ্বি হয়ে ছিলেন। এমএ মান্নান ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৬৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সইে থেকে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে টানা ৪র্থ বাররে মতো গেল নির্বাচনে আওয়ামী লীগরে মনোনয়নে জয়ী হয়ে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি।
Posted ১০:২০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed