আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 54 বার পঠিত
আমতলীতে চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপির উপজেলা সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক আমতলী থানাকে এফআইআর গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে মামলাটি দায়ের করেন চলাভাঙ্গা গ্রামের হুমায়ুন কবির মিল্টন নামে এক মুদি মনোহরি দোকানদার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামের আ. ছত্তার মৃধার ছেলে হুমায়ুন কবির মিল্টন চলাভাঙ্গা গ্রামে নির্মানাধিন পায়রা তাপবিদ্যু কেন্দ্রের সুইসিং স্টেশনে শ্রমিক সরবরাহ করে আসছেন। এবং খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় তার একটি মুদি মনোহরি দোকান রয়েছে। বুধবার সকালে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ধারালো দা রামদা ও লাঠি নিয়ে ১৫-২৫টি মটর সাইকেল যোগে ওই দোকানের সামনে গিয়ে তুহিন মৃধা তার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। হুমায়ুন কবির মিল্টন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তাকে ব্যাপক মারধর ও দোকান ভাংচুর করে ৩লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে। এসময় হামলা কারীরা ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকাও নিয়ে যায়।
দোকান ভাংচুর করে মালামালও নগদ টাকা লুট এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিগে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিন্ট্রেট আদালতে হুমায়ুন কবির মিল্টন বাদী হয়ে বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হিমু আকন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল আকন, উপজেলা যুবদলের ১নং সদস্য সামসু চৌকিদার ওউপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান রাকিবকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ আসামির বিরুদ্ধে আমতলী থানাকে এফআইআর গ্রহনের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী হুমায়ুন কবির মিল্টন বলেন, তুহিন মৃধার নেতৃত্বে আসামিরা আমার নিকট বুধবার সকালে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় আমার দোকান ভাংচুরসহ ৩লক্ষ টাকার মালামাল এবং ২ লক্ষ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমি এঘটনার বিচার চাই।
বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন চাঁদা দাবি, ঘর ভাংচুর মালামাল এবং নগদ টাকা লুট কোনটিই করি নাই। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সাবেক সভাপতি জালাল ফকিরের নেতৃত্বে খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় চাঁদা বাজি চলছিল। আমি তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এজন্য জালাল ফকির ক্ষিপ্ত হয়ে তার নিজের লোক দিয়ে আমাকে হয়রানি করার জন্য মামলা করেছে। তিনি এ সাজানো মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বুধবারের ঘটনার সিসি ক্যামেরার এবং ভিডিও ফুটেজ চেক করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। উল্লেখ্য খুরয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার দুপুরে চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টির অভিযোগে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের ৭জন আহত হয়। এসম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন বৃহস্পতিবারের সমকালে প্রকাশিত হয়েছে।
আমতলী থানার পরিদর্শক মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, আদালতের আদেশ আমরা এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়া গেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১০:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed