সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি | সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 41 বার পঠিত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সময়ে যেসব নেতাকর্মীরা লুটতরাজ ও ঘুষ-দুর্নীতির করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং নীরব থেকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।
সোমবার (১৯ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার পাগলা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মিছিল-সমাবেশ সম্পন্ন হয়। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের নেতৃত্বে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রওশন খান সাগর ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম নাঈমের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও অত্যান্ত ভদ্র এবং মার্জিত রাজনীতিবিদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন কোনো মানুষ যদি অপরাধ করে আমরা যেনো আইন হাতে তুলে না নেই। অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবেন না, অবশ্যই সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাই বিএনপির সকল সাংগঠনিক সক্ষমতা থাকার পরও আমরা আমাদের নেত্রী, নেতা এবং মহাসচিবের কথায় আইন হাতে তুলে নেই নাই। কিন্তু এই কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা ষোলো বছর এই রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিলেন, পরিকল্পনায় ছিলেন তাদের কি কোনো অপরাধ নাই? অবশ্যই আছে, তারাও অপরাধী। তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই দেশের রূপগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্র, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী দোসররা। তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী কি এর দায় এড়াতে পারবেন? আমরা মনে করি তার পরিকল্পনার মধ্যদিয়ে এতো হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। তিনি সবকিছু জানেন এবং তিনি এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত আছেন। যদি তিনি জড়িত না থাকতেন তাহলে তখনই পদত্যাগ করতেন। তার পদত্যাগ না করায় তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত।
ফারুক আহমদ আরও বলেন, শান্তিগঞ্জে হাবিল-কাবিলের নাম আপনারা সবাই জানেন। কীভাবে প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ নিয়ে সিন্ডিকেট করে তারা সেসব কিছু আমরা সবাই দেখেছি। নাইন্দা নদী খনন করে লুটপাটের যে মহড়া করেছে এর ফলে সুলতানপুর পার্বতীপুর গ্রামটি আজ হুমকির মুখে। টিআর কাবিখা, উপজেলায় ইউএনও ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের জিম্মি করে যে লুটপাট করা হয়েছে সেই লুটপাটের বিচার বাংলার মাটিতে হতে হবে।
বর্তমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ফারুক আহমদ বলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও হাবিল-কাবিলদের ব্যাপারে আপনারা খোঁজখবর নেন। তারা যদি দোষী না হন তাহলে তাদের বিচারের প্রয়োজন নেই, আর যদি তারা দুর্নীতি, লুটপাটের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ তাদেরকে ছেড়ে দিবেন না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ আমিন। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আওলাদ হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, প্রচার সম্পাদক হিফজুর রহমান চৌধুরী দিদার, বিএনপি নেতা সিরাজুর রহমান সিরাজ, সিতু মিয়া, যুবদল নেতা আবদুল মজিদ, ইউপি সদস্য লিটন মিয়া, পাথারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন কনু শাহ্, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য আবদাল হোসেন, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীন মিয়া, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি সজীব আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, কৃষক দল নেতা মোশাহিদ আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মুরাদ চৌধুরী, যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী শাহ আলম, শ্যামল চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন তুহিন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এইচ এম নাছির, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হারুন মিয়া ও ছাত্রদল নেতা মানছুর আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা নূর উদ্দিন, আছকির মিয়া, আবুল কালাম, আবুল লেইছ, নূরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম সুমন, মুজিবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম, জাফর সাদেক লেবু, হাসান আলী, আয়াজুল হক, তফজ্জুল হোসেন, নূরুল ইসলাম, খলিলুর রহমান খলিল (ইউপি সদস্য), মুজিবুর রহমান, শহিবুর রহমান, সাদিক মিয়া, আতিকুর রহমান আতিক (ইউপি সদস্য), আঙ্গুর মিয়া, জমির হোসেন, সিরাজ মিয়া, জহির উদ্দীন, জিয়াউল হক, অজিত দাশ, আলী নূর, আবদুল মতিন, মোজাহিদ আলী (ইউপি সদস্য), আবুল লেইছ, নিজাম উদ্দিন, মিজান মিয়া, ফয়জুর রহমান, সোহেল মিয়া, লেবু মিয়া, আবদুল মোমিন, শাহ আলম, নূর মিয়া, বুলবুল মিয়া, ঝনু মিয়া, শিফাউর রহমান, সাব্বির আহমদ, তোফায়েল আহমদ, যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির, হাসনাত হোসেন, সৈয়দ আলম, সিজিল মিয়া, আমির হোসেন, আতাউর রহমান, জাফর আহমদ, মনির মিয়া, শামীম আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুয়েব আহমদ, ফয়ছল আহমদ, ইয়াহিয়া পারভেজ, প্রজন্মদল নেতা মহিম মিয়া, শব্দেন নূর, আহমদ সাগর, রাকিদ মিয়া, ইজাজ মিয়া, সাইফুল মিয়া, মিজানুর রহমান, তুহিন আহমদ, মাছুম আহমদ, সুমন আহমদ ও নূর হোসেন প্রমুখ।
পরে পাগলা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Posted ১০:১৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed