শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 56 বার পঠিত
সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লব, নৈরাজ্য প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতা কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আহমদ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ বাজারে অবস্থান কর্মসূচী থেকে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার প্রতি এই আহ্বান জানান তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুহেল মিয়া ও যুবদল নেতা ফরিদ গাজির যৌথ সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচী পরবর্তী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করে আনছার উদ্দিন বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা কাবা ঘর রক্ষা করতে যেভাবে আবাবিল পাখি প্রেরণ করেছিলেন তেমনি ২০২৪ সালে বাংলার নমরূদ, বাংলার ফেরাউন খুনি হাসিনাকে বিতাড়িত করার জন্য আবাবিল রুপে শিক্ষার্থীদের প্রেরণ করেছেন। ছাত্র-জনতার এই বিজয়কে যারা ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র করছে তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করা হবে’।
শান্তিগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মী শান্তিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিজয়ের দিনে শান্তিগঞ্জে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহাড়া দিতে আমরা নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছিলাম। আমাদের নেতাকর্মী আমাদের নির্দেশনা পালন করে শান্তিগঞ্জে শান্তি বজায় রেখেছেন। কিন্তু বিগত ১৭ বছর গুন্ডালীগের বাহিনী মামলা দিয়ে পুলিশ লেলিয়ে শান্তিগঞ্জের শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছিল। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়িঘর ছেড়ে ক্ষেতে রাতযাপন করেছেন। অনেকে কারাবরণ করেছেন। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। আমাদের আপোষহীন নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় অর্ন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন দেওয়ার আগ পর্যন্ত বিএনপি রাজপথ দখলে রাখবে। পরাজিত শক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।
ফারুক আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘খুনী হাসিনার দম্ভোক্তি আপনারা শুনেছেন। সে বলেছিল এই দেশ আমার বাবা স্বাধীন করেছেন, এই দেশ আমার বাবার। কিন্তু আপনি এখন আপনার মামার বাড়ি চলে গেছেন। আপনি একজন বিশ্বাসঘাতক। আপনি আপনার নেতাকর্মীকে একা ফেলে রেখে পালিয়েছেন। আপনাদের লজ্জা করা উচিৎ। আপনাদের নেত্রী ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে স্বৈরাচার এরশাদ পতনের আন্দোলনে বিএনপির সাথে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা বলে এরশাদের সাথে আঁতাতের রাজনীতি করে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।
ফারুক আহমদ আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান স্বেচ্ছায় কারাবরণ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভারতে চলে গেলে আমাদের নেতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাদের বন্দি করে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই মহান নেতার সুযোগ্য সন্তান জননেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাঁধা দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আমাদের নেতা এখন বীরের বেশে দেশে আসবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রওশন খাঁন সাগর, সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নুর আলী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমিনুর রশিদ আমিন, উপজেলা বিএনপি নেতা কমর উদ্দিন, মহির উদ্দিন, ফরিদ আহমদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, ইলিয়াছ মিয়া, সিরাজ মিয়া, আবুল কালাম, আবুল কাশেম নাঈম, জিয়াউর রহমান, জহির উদ্দীন, কামাল পারভেজ সাজন, মোহাম্মদ আলী, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রঞ্জিত সূত্রধর, যুগ্ম আহ্বায়ক জিলানি মিয়া, সদস্য তুরন খাঁন, শহিদুল ইসলাম, ছালিক আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক ফরমান উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মামুনুর রশিদ, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল করিম মাসুম, সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন কামরান, সদস্য মানছুর আহমেদ, ইমরান হোসেনসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মী প্রমূখ।
Posted ১০:২১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed