বুধবার ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ওসমানীনগরে ডুবা থেকে সাবেক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

ওসমানীনগর প্রতিনিধি   |   সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   22 বার পঠিত

ওসমানীনগরে ডুবা থেকে সাবেক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

সিলেটের ওসমানীনগরে ডুবা থেকে ফারুক মিয়া (৬৫) নামের এক সাবেক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউপির মাধবপুর গ্রামের আজিম মিয়ার বাড়ির পাশের ডুবা থেকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ফারুক মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহত ফারুক মিয়া উপজেলার উছমানপুর ইউপির মাধবপুর গ্রামের মৃত আছাব মিয়ার ছেলে ও মাদারবাজার এফইউ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক এবং মাদারবাজার শাপলা ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার এশার নামাজের পর মাদারবাজার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শাপলা ফার্মেসী থেকে বাড়ি ফেরার পর নিখোঁজ হন ৪ কন্যা সন্তানের জনক ফারুক মিয়া। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করে তার সন্ধান পাননি স্বজনরা। রাতে নজি বাড়ির প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে একই গ্রামের আজিম মিয়ার বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে ডুবায় ফারুক মিয়ার লাশ উপুর হয়ে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ফারুক মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নিহত ফারুক মিয়ার নাক মুখ চোখ ও কান দিয়ে রক্ত পরছিলো এবং দুচোখের পাতার উপরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত শেষে গতকাল সোমবার বাদ আছর নিজ গ্রাম মাধবপুরে নামাজে জানাজা শেষে নিহত ফারুক মিয়ার লাশ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত ফারুক মিয়ার খালাতো ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান কাজী হেলাল বলেন, অঅমার খালাতো ভাই ফারুক মিয়ার তেমন শত্রু আছে বলে জানা নেই। তার কোনো ছেলে সন্তান নেই চার মেয়ে আছে তারা স্বামীর সাথে প্রবাসে বসবাস করে। দোকান থেকে নিজের বাড়ির রাস্তকায় না এসে অন্যের বাড়ির পাশে লাশ পাওয়া রাতে গ্রামের একজনের মোবাইলে ফারুক মিয়াকে শেষ করে দিয়েছি বলে বার্তায় আসায় সন্দেহ হচ্ছে তাকে কেউ হয়তো হত্যা করেছে। তবে পুলিশের তদন্ত ও লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যু আসল কারণ জানা যাবে।

ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস সাবেক শিক্ষকের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি হত্যা না অন্য কিছু ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। লাশের নাক মুখ চোখ ও কান দিয়ে রক্ত পরছিলো এবং দুচোখের পাতার উপরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমানীনগর(সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম সেবা বলেন, ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। মোবাইলের বার্তাটি আমার হাতে এসেছে সব কিছু খতিয়ে দেখে বেং ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Facebook Comments Box

Posted ৯:২৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com