সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

এবার স্ত্রীসহ এনবিআর কর্মকর্তার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   40 বার পঠিত

এবার স্ত্রীসহ এনবিআর কর্মকর্তার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল। ফাইল ছবি

ছাগলকাণ্ডে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এবার আরেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে-বেনামে থাকা সব সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানী করেন সংস্থাটির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এর আগে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত করছে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকাও অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ফয়সালের স্ত্রী আফসানা জেসমিনসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিন, দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্য মোস্তাফিজ রাজস্বের কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের জন্য ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার নিজ নামে ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এর নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট কিনেছেন। অনুসন্ধান চলার সময় তিনি প্লটটি বিক্রি করে দেন। দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আবেদনে আরও বলা হয়, অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।

আদালতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে বদলী বাণিজ্য, আয়কর দাতাদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, গোপনের উদ্দেশ্যে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

Facebook Comments Box

Posted ৮:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com