অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 82 বার পঠিত
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে সিজারিয়ান বেড়েছে। বিনা কারণেই অনেক মা সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেওয়া অর্ধেকের বেশি কমাতে একযোগে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ৯-১৪ ডিসেম্বর এই সপ্তাহ পালন করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখনও ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা বছরে মাতৃত্বকালীন সময়ে মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা মা ও শিশু মৃত্যুহার অন্তত ৫ ভাগ কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবে মা ও শিশু মৃত্যুহার বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের তুলনায় এখন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবু এখনও বছরে এত মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃ মৃত্যুহার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে এবং শিশু মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর টিটু মিয়া এবং ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিস ক্রিস্টিাইন ব্লোকসসহ অনেকে।
Posted ৪:৪৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed