গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি | সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 60 বার পঠিত
সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় তৃতীয় দফায় আবারও বন্যায় ১৯৬ বর্গ কি. মি এলাকা ও ১২৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে তৃতীয় দফার এই বন্যায় আবারও পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ১২ হাজার ৬শ পরিবারের মানুষ । এতে দফায় দফায় বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় আতংঙ্কে রয়েছেন উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলে পানি বন্দি মানুষ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়,উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৮ জুন সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩দিনে মোট ৬৪০মিঃমিঃ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮ টা ঘ থেকে আগামী ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৮ পর্যন্ত ৩দিনে ৯৬৯মিঃমিঃ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।বিগত ৩ ঘন্টায় সারি নদীর পয়েন্টে পানি প্রবাহের উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার ( ১ জুলাই) দুপুর ১২টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গোয়াইন ১০.৮২ মিটার, সারী ১২.৩৫ মিটার ,পিয়াইন নদীর ১৩.০০ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও উপজেলার সকল নদ-নদীর পানি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী কিছুদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে সেহেতু উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশংঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৯৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়ে ১২ হাজার ৬ শত পরিবার পানি বন্দি আছে। উপজেলার ৬০০ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত আছে। বন্যা দূর্গত মানুষের চিকিৎসার জন্য ১০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলাবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছেন। এছাড়া যে সকল ঘর বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরকে সময় নষ্ট না করে এখনই নিরাপদ আশ্রয়ে তথা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে।
উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৪৭টি নৌকা মাঝি সহ প্রস্তুত রয়েছে । উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকগণ পূর্বের ন্যায় একযোগে কাজ করবেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রতিটি ইউনিয়নে ১জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছ।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন ,ভারী বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি উদ্ভব হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে এবং মানুষের জানমালের স্বার্থে উপজেলাবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি । এছাড়াও সে সকল ঘর বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরকে সময় নষ্ট না করে এখনই নিরাপদ আশ্রয়ে তথা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।
বন্যা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ওয়ার্ড সদস্য ও সেচ্চাসেবকগণ পূর্বের ন্যায় একযোগে কাজ করবেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দ্রুত গতিতে বন্যার পানি বাড়ছে এমন খবর পাওয়া গেছে। ভারী বৃষ্টি ও বৈরীআবহাওয়া আব্যাহত রয়েছে।
Posted ৯:১০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed