অনলাইন ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 59 বার পঠিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব, ব্যয় ও সংগ্রহে বিশেষ নজর দিতে হবে। এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম সহ্য করব না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সোমবার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে মন্ত্রিসভা গঠনের পথ প্রশস্ত করেছে। এছাড়া, শেখ হাসিনা তাঁর দল জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের পর ঐতিহাসিক পঞ্চমবারের মতো এবং টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন।
দুর্নীতি দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের যা সম্পদ আছে আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাব এবং আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এগিয়ে যাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত কিন্তু জনসংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়েই জনগণের কল্যাণ করতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, যোগ্য ব্যক্তিরা যেন বয়স্ক ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
তিনি মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী জনগণের অর্থের অপচয় রোধ, এমনকি যাচাই-বাছাই ছাড়াই যে কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পণ্যমূল্যের কারসাজিকারীদের কঠোর নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রমজান আসছে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিষ্ঠান খাদ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। তারা সবসময় এখানে একটি খেলা খেলতে চায়। ‘সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের প্রস্তুতি নিতে হবে’ বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেসব পণ্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়- সেগুলোর দাম সহনীয় মাত্রার মধ্যে রাখতে হবে এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চেইনের মাধ্যমে বাজারে সেগুলোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বৈঠকে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে বলেন। মূল্যস্ফীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়লেও এর কোনো ঘাটতি নেই। তিনি মূল্যস্ফীতিকে প্রবৃদ্ধির তুলনায় কম রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কারণ তাহলেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার ২০০৯ সাল থেকে মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি, যেটা প্রায় ১২ শতাংশ ছিল, তা ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বাকি সব কমেছে ৮ শতাংশে। কিন্তু আমাদের আরও কমাতে হবে।’
Posted ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed