অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 84 বার পঠিত
সিলেট-২ সংসদীয় (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে গত রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
অন্য এমপির সঙ্গে সকালে বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণ করেন শফিক চৌধুরীও। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি পেলেন সুখবর। মন্ত্রিসভায় ঠাই পাচ্ছেন ২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ হিসেবে সুখ্যাতি পাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পেয়েছেন উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন- কোন মন্ত্রণালয় মিলছে তা এখনো জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়াবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সে সময়ের প্রভাবশালী নেতা এম ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন শফিক।
শফিকুর রহমান চৌধুরী ‘কামব্যাক’ করায় বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। সেই আনন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তিনিও নিজেকে মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিবেন বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণের পর শফিকুর রহমান চৌধুরী এক প্রতিক্রিয়ায় সিলেটভিউ-কে বলেন- প্রথমেই জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা, তিনি আমাকে নৌকা না দিলে বিজয় আসতো না। দীর্ঘ ১০ বছর আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষ উন্নয়নবঞ্চিত ছিলেন নৌকার প্রার্থী না থাকায়। তবে এবার নৌকা ফিরে আসায় বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরবাসীর কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে। স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী ৫ বছর নিবিষ্টচিত্তে আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগে কাজ করা শফিকুর রহমান বিলেতের মায়া ত্যাগ করে সিলেটের রাজনীতিতে সক্রিয় হন ২০০৮ সালে। পরের বছরেই সিলেট-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাজিমাত করেন। স্থানীয় রাজনীতিতে বিশ^স্ত নেতা হয়ে উঠায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মূল্যায়ন করে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পান তিনি।
দেশে থিতু হওয়ার পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মী, সব শ্রেণি-পেশা এবং সাধারণ মানুষের জন্য শফিক চৌধুরীর দরজা সবসময় উন্মুক্ত ছিলো। যে কারেণ তিনি ‘সিলেটের চব্বিশ ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে সুখ্যাতি পান। তিনি ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন।
Posted ৯:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed