মাওলানা মুফতি মোঃ আবু সাঈদ সৈয়দ | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 68 বার পঠিত
নিম্নে যে আমলে হাজার গোনাহ মাফ হয় বর্ণনা পেশ করা হলো
এক হাজার নেকি লাভ ও এক হাজার গোনাহ মাফ—তাও আবার প্রতিদিন! ধর্মানুরাগী ও আল্লাহ-প্রেমীরা এমন সৌভাগ্য হাতছাড়া করবেন না।
সওয়াব ও প্রাপ্তির পরিমাণ অনেক হলেও আমলটি খুবই সহজ।
নারী-পুরুষ সবাই খুব সহজেই আমলটি করতে পারেন।
আমলটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
হযরত রাসুল (সা.) এর হাদিস বর্ণনার ধরন দেখলেই তা বোঝা যায়।
প্রিয়নবী (সা.) একটু ভিন্ন রকমে ও ভিন্ন আঙ্গিকে এ আমলের ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
তিনি বললেন, ‘তোমাদের জন্য কি দৈনিক এক হাজার নেকি লাভ করা কঠিন কিছু তখন এক সাহাবি বললেন, আল্লাহর রাসুল! কী করলে এক হাজার নেকি লাভ করা যাবে তখন নবীজী বললেন, ‘একশ বার “”সুবহানাল্লাহ”” বললে এক হাজার নেকি লেখা হবে অথবা (কোনো কোনো বর্ণনায়) এক হাজার গোনাহ মোচন হবে।
’ (মুসলিম, হাদিস ২৬৯৮; ইবনে হিব্বান, হাদিস ৮২৫)
এছাড়াও হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশ বার
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু।
লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির…””
পড়বে বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গোনাহ মাফ হবে, দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে রক্ষার কারণ হবে।
মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে।
’ (তিরমিজি, হাদিস ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২৩৫১৮)
বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, নামাজের বৈঠক থেকে ওঠার আগে, কোনো কথা বলার আগেই এই দোয়া পড়বে। কোনো বর্ণনায় শুধু নামাজের পর পড়ার কথা এসেছে।
(তিরমিজি, হাদিস ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ১৭৯৯০)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘…তার আমলনামায় এক নেকি লেখা হবে, একশ গোনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৮৭১৯)
আরেক হাদিসে এসেছে, হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম আযাদের সওয়াব পাওয়া যাবে।
(আবু দাউদ, হাদিস ৫০৭৭; তিরমিজি, হাদিস ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২৩৫৬৮)
মোদ্দাকথা, বর্ণনার বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতা থাকলেও ফজর এবং মাগরিবের পর এই দোয়া-আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গোনাহ মাফ করেন। তাকে সওয়াব দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
লেখক : সুপার, হাতিয়া নাচনী বেতাউকা পীর আকিল শাহ নেছারিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা, দিরাই, সুনামগঞ্জ।
Posted ১০:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed