সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী বলেছেন, সিলেটের মানুষ আমার আপনজন। নির্বাচনের সময় তাঁরা আমার পাশে ছিলেন। এখন আমি সিলেটবাসীর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি একে একে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, মহামারি করোনা গোটা পৃথিবীকে উলোট-পালট করে দিয়েছে। যা মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি। সেই কঠিন সময়ে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশ তথা সিলেট বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়। তারপর সিলেটে বয়ে যাওয়া বৃহৎ বন্যায় রাস্তাঘাট বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই কঠিন সময়ে বিশ্ব্যাংক পাশে দাঁড়ানোর ফলে সিলেট বিভাগজুড়ে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে।

বুধবার (১৫ মে) সকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন লোকাল গভার্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকোভারী প্রজেক্ট (এলজিসিআরআরপি) আয়োজিত সিলেট বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

যে প্রকল্প বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অধিনে বর্তমানে সিলেটসহ দেশের ১০টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৩২৯টি পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে “Sharing Project Experience” শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি সিনিয়র সোসিয়াল ডেভেলপমেন্ট স্পেসিয়ালিষ্ট মো. আক্তারুজ্জামান, কনসালট্যান্ট হুরাইরা জেবিন।

রুহেনা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- এলজিইডি সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মো. তৌফিক হাসান, সিলেট অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোঃ শাহ্ আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং উপ-পরিচালক, আঞ্চলিক মিউনিসিপ্যাল সাপোর্ট ইউনিট, এলজিইডি, সিলেট অঞ্চল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি নাজমুস সাদাত মো. জিল্লুর রহমান। এবং সরকার মোঃ সাজ্জাদ কবির, উপ-প্রকল্প পরিচালক, এলজিসিআরআরপ, সদর দপ্তর। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এলজিআরডি মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুন।

কর্মশালায় সিলেট বিভাগের বিশটি পৌরসভার মেয়র, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী প্রকৌশলীগণ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

লোকাল গভার্ণমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারি প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হল- কোভিড-১৯ মহামারীতে নগর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সাড়া প্রদান এবং পুনরুদ্ধার জোরদার করা এবং ভবিষ্যৎ মহামারী, দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি বাংলাদেশের ১০টি সিটি কর্পোরেশন ও ৩২৯টি পৌরসভাতে তার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রকল্পটির তিনটি প্রধান কম্পোনেন্ট রয়েছে।