অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 69 বার পঠিত
আইএসের (ইসলামিক স্টেট) সদস্যকে বিয়ে করতে কিশোর বয়সে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব হারানো শামীমার আপিল খারিজ করেছেন আদালত। খবর বিবিসির
নিজের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের অক্টোবরে লন্ডনের আপিল আদালতে মামলা করেন সাবেক ‘আইএস বধূ’ শামীমা বেগম (২৪)।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত বলেছেন, আইনি উপায়েই শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। আদালতের এ আদেশের অর্থ শামীমাকে সিরিয়ায় থাকতে হবে এবং তার যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
শামীমার পরিবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি তার স্কুলের দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়ায় যেতে পূর্ব লন্ডনের বাসা ছাড়েন। পরে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের এক যোদ্ধাকে বিয়ে করেন শামীমা। সেখানে তার তিনটি সন্তান হয়। তবে সন্তানেরা কেউ বেঁচে নেই।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শামীমাকে সিরিয়ার একটি শরণার্থীশিবিরে পাওয়া যায়। এ সময় তিনি জানান, ওই সময়কার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেন। এতে তিনি (শামীমা) রাষ্ট্রহীন অবস্থায় পড়েছেন।
পরের বছর ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের একটি ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, শামীমা রাষ্ট্রহীন অবস্থায় নেই। কেননা তিনি ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন নাগরিক’। তার মা একজন বাংলাদেশি।
গত বছর শামীমা যুক্তরাজ্যের স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিল কমিশনে (এসআইএসি) ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হেরে যান। কমিশন বলেছে, শামীমাকে জঙ্গি সংগঠনটিতে নিয়োগ দিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে নিয়ে যাওয়া ও পরে যৌন নির্যাতনের জন্য সিরিয়ায় রেখে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য সন্দেহ রয়েছে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাভিদ তার নাগরিকত্ব কেড়ে না নিয়ে পারেননি।
এ আদেশের ফলে শামীমা বেগম সিরিয়ায় শরণার্থীশিবির থেকে যুক্তরাজ্যে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেননি।
Posted ১০:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed