শুক্রবার ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ইউরোপ যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ায় নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক   |   রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   73 বার পঠিত

ইউরোপ যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ায় নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি

ফাইল ছবি।

নৌপথে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রায় তিউনিসীয় উপকূলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ জন অভিবাসী মারা গেছেন। মারা যাওয়া অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক বলে বি‌ভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে লি‌বিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। স্থানীয় সময় শ‌নিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

দূতাবাস জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসীর সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ জন অভিবাসীর মৃতদেহ এবং ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। মৃত্যুবরণকারী অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক। এছাড়া জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।

আন্তর্জাতিক অভিবাস সংস্থার তথ্যমতে, বিভিন্ন দেশের উপকূল হতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে ২০২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসীপ্রত্যাশী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নিখোঁজ হয়েছেন।

সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের উপর কঠোর নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।

ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ইউরোপ যাত্রা না করতে বাংলাদে‌শি অভিবাসীদের সতর্ক করেছে দূতাবাস। দূতাবাস বলছে, সবাইকে দালাল ও পাচারকারীদের প্ররোচনা-প্রতারণায় পড়ে জীবনের ঝুঁকি না নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

এ ছাড়া লিবিয়ায় কর্মরত বা বসবাসরত প্রবাসীদেরকে বর্ণিত বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদেরকেও সতর্ক করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Posted ১২:৩০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ajkersangbad24.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
ফয়জুল আহমদ
যোগাযোগ

01712000420

fayzul.ahmed@gmail.com