অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ | প্রিন্ট | 43 বার পঠিত
সম্প্রতি চট্টগ্রামে বন্দরে তেলবাহী দুটি জাহাজে আগুন লাগার পর দুশ্চিন্তায় পড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। তবে দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ওই জাহাজ থেকে তেল অপসারণের ফলে স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে।
এতে একদিকে যেমন ঝুঁকি কমেছে, তেমনি তেল সংকট নিরসনের আশাও করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার গভীর রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের চার্লি অ্যাংকরেজের কাছে নোঙর করা রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বাংলার সৌরভে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, ক্রুড তেলবাহী জাহাজটির সামনের দিকে আগুন লাগে। ভয়াবহতা বেশি হওয়ার কারণে অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এমভি বাংলার সৌরভে ১১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এসব তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কাও তৈরি হয়। এমন সময় এগিয়ে আসে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা। বসুন্ধরা গ্রুপের তিনটি বড় ট্যাংকারের সহায়তায় তেল অপসারণ করা হচ্ছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা মুক্ত হচ্ছে বহির্নোঙর। এরই মধ্যে বেশির ভাগ তেল নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, আমার দরকার ছিল চার পাঁচ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকার। আমরা এরই মধ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে দুইটা ট্রিপ দিয়েছি। আরেকটা ট্রিপের তেল এখন লোড হচ্ছে, এটা শেষ হলে বাংলার সৌরভ কার্গোটি সম্পূর্ণ ফ্রি হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দ্রুততম সময়ে আমরা দেশীয় একটা কোম্পানির কাছে দুইটা ভ্যাসেল নিয়েছি। আগুন লাগা সৌরভের পাশে ভ্যাসেল নিয়ে আমরা এরই মধ্যে চার ভাগের তিন ভাগ তেল খালাস করে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পৌঁছে দিয়েছি।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আরও এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের চালিকাশক্তি পেট্রোলিয়াম কার্গো রক্ষা করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সবার আগে এগিয়ে এসেছে।
Posted ১০:১৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed