অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 39 বার পঠিত
১৮৮২ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বের প্রথম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়
কয়লাচালিত বিদ্যুৎশক্তি থেকে সরে আসার দেশ হিসেবেও প্রথম যুক্তরাজ্য
দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস, পারমাণবিক শক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে
যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যামশায়ারের র্যাটক্লিফ-অন-সোয়ারে সর্বশেষ কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে দেশটিতে ১৪২ বছরের কয়লা যুগের অবসান ঘটল। সোমবার ১৯৬৭ সাল থেকে চলা ৫৭ বছর বয়সী এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি বন্ধের মাধ্যমে কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমাপ্তি ঘটেছে যা ব্রিটেনের শিল্প, আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
যুক্তরাজ্য ছিল কয়লাচালিত বিদ্যুৎশক্তির জন্মস্থান। আবার কয়লাচালিত বিদ্যুৎশক্তি থেকে সরে আসা দেশের দিক থেকেও প্রথম স্থানে চলে এলো যুক্তরাজ্য। দীর্ঘ সময় ধরে পরিবেশ সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করা লর্ড দেবেন বলেন, এটি সত্যিই একটি অসাধারণ দিন, কারণ ব্রিটেন তার পুরো জ্বালানি কাঠামো কয়লার ওপর তৈরি করেছে, এটিই শিল্প বিপ্লব।
এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখতে যুক্তরাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ কয়লা হলো সবচেয়ে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি যা পোড়ালে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয়। কয়লার বদলে দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস, পারমাণবিক শক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। ধনী দেশগুলোর বৈশ্বিক ক্লাবের মধ্যে ব্রিটেনই প্রথম কয়লা থেকে সরে আসছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, র্যাটক্লিফ-অন-সোয়ার পাওয়ার স্টেশনের ১২ তলা উচ্চতার বয়লারগুলোতে সোমবার নামছে শীতলতা। বাষ্প তৈরির জন্য কয়লার আগুনের যে গোলা এতদিন জ্বলেছে, সেখানে নেমেছে অন্ধকার। ৫০০ মেগাওয়াটের চারটি টারবাইন এতদিন ঘুরেছে বিরামহীন, সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেল। এর ফলে ৫৭ বছর ধরে কয়লার যে পাহাড়সম স্তূপ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে চালিয়ে রেখেছে, তার অবশিষ্টাংশ এক সময় ধুলোয় মিশে যাবে।
১৮৮২ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বের প্রথম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের গতি মন্থর করার চেষ্টায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম একটি মাইলফলকে পৌঁছাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
অন্য জি-সেভেন দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ২০২৫ সালের মধ্যে, কানাডা ২০৩০ সালের মধ্যে এবং জার্মানি ২০৩৮ সালের মধ্যে কয়লা থেকে সরে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওইসিডিভুক্ত ৩৮টি দেশের তিন-চতুর্থাংশও ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা থেকে সরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Posted ১০:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed