অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 53 বার পঠিত
সিলেট বিভাগীয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিসের পরিচালক প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান খান বলেছেন, সুন্দর আগামী নির্মাণের জন্য যেমন সুন্দর মানুষ গড়ে তুলতে হয়, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম ভিত্তি হলো স্মার্ট নাগরিক। যে নাগরিক আদব-কায়দা রক্ষা করে স্থানকাল পাত্রভেদে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে, সেই প্রকৃত স্মার্ট। তাই সন্তানদের প্রকৃত স্মার্ট বানাতে হলে নৈতিক মূল্যবোধ ও আদব-কায়দা শিক্ষা দিতে হবে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শিশুকিশোর ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর পুরস্কার ও সনদ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সিলেটের চার জেলা থেকে কয়েকশো’ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রচারপ্রসারের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ও চর্চা কেন জরুরি, তা বর্তমান বাস্তবতা আমাদেকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন বানাতে আদব-কায়দা শেখাতে হবে। কারণ বেয়াদব কখনো স্মার্ট হতে পারে না। আর আদব-কায়দা শিক্ষা দিতে হলে ইসলামের কাছে ফিরে যেতে হবে। আমরা যদি বাচ্চাদেরকে ইসলামি শিক্ষাদীক্ষা না দেই, ইসলামি সংস্কৃতির সাথে সন্তানের পরিচয় না করাই, তাহলে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে। কারণ সমাজবাস্তবতায় এখন বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে। তাই নিজেদের স্বার্থে সন্তানকে আদব-কায়দা শিক্ষা দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, সন্তানকে ভোগবাদী হিসেবে গড়ে না তুলে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের মনন গঠনে তাদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। কারণ ইসলামি বইপত্র বাচ্চাদের মননে নৈতিক বুনিয়াদ গড়ে দেয়।
তিনি বলেন, ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ, চর্চা ও বাচ্চাদের মধ্যে সেই চেতনাবোধ জাগ্রত করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ সাতটি বিষয়ে বিশটি গ্রুপে ৬০জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা।
Posted ১১:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed