অনলাইন ডেস্ক | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 39 বার পঠিত
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারী অনুষদের জেনারেল সার্জারী বিভাগের এমএস ফাইনাল (ফেইজ-বি) পরীক্ষার অসপি পরীক্ষায় ডা: সাদিয়া রাসুল প্রিয়াংকা নামে এক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৮৮ নম্বর পায়। যা পুরো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসের সেরা নস্বর বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। যার রোল নং রোল- ০২৩০-০০৬। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাম্বার ৬৬।
বিষয়টি ইতিবাচক হলেও অভিযোগ উঠছে কিছু নেতিবাচক দিক নিয়ে৷ ফলাফল প্রাপ্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, জেনারেল সার্জারী বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রশাসন অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ উত্তরপত্রসহ অসপি পরিক্ষার প্রশ্ন দেয় এই শিক্ষার্থীকে।
এর আগে ফেইজ -এ পরীক্ষার সময়ও এই শিক্ষার্থীকে অসপি, ক্লিনিক্যাল ও লিখিত পরীক্ষায় নিজ ক্ষমতাবলে পাস করিয়ে দেয়। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিশোধ-পরায়ন হয়ে ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন বিধায় কেউ মুখ খোলে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার্জারী বিভাগের একজন প্রফেসর বলেন, অসপি পরীক্ষায় ১০ টি স্টেশন এ ১০ টি টপিকের উপর হাতে-কলমে পরীক্ষা নেওয়া হয় । ১০০ নাম্বারের মধ্যে ৬০ হলো পাস নাম্বার। এই পাস নাম্বার ৬০ উঠাতে পারলে যেকোন শিক্ষার্থীর গলদঘর্ম হয় সেখানে একজন পরীক্ষার্থী কিভাবে এত নাম্বার পেল তা নিয়ে আমরা বিস্ময়ে হতবাক।
অভিযোগ উঠে, জেনারেল সার্জারী বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রশাসন অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ যিনি এই পরীক্ষার একাধারে কনভেনর, মডারেটর ও লিখিত সকল পরীক্ষার উত্তর পত্র মূল্যায়নের পরীক্ষক। ডিপার্টমেন্টে অন্যান্য সিনিয়র কোন অধ্যাপককে এই পরীক্ষার মডারেশন থেকে কোথায়ও তিনি রাখেননি।
অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন এই শিক্ষার্থীকে এডহক ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেন।
এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১১:৪৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed