অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 60 বার পঠিত
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, দক্ষ কর্মী বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতায় সরকারি বাঙলা কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন ও প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা রানারআপ হন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা এখন ভিক্ষুকের জাতি নয়। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে প্রবেশ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই এখন আমাদের লক্ষ্য। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীরা সব সময় বন্ধু হিসেবে দেশের পাশে থেকেছেন।
তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ থেকে। অভিবাসী কর্মীদের পাঠানো অর্থের ওপর প্রণোদনা ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়ানোর বিষয়ে সরকার আন্তরিক। প্রবাসীদের যাতায়াতে বিমানবন্দরে সদাচরণ ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখা উচিত। প্রবাসী আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে কোন দেশে কি ধরনের কর্মী দরকার সে অনুযায়ী দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর জোর দিতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে দ্রুতই আলোচনায় বসবো।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের কর্মক্ষম ২৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয় অভিবাসনের মাধ্যমে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান না হলে দেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা ১০ শতাংশ বেড়ে যেতো। অভিবাসী শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সক্ষম করে গড়ে তুলতে সরকারের নীতি সহায়তা জরুরি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সিআইপির মর্যাদা দেওয়ার উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করলে তারা সম্মানিত বোধ করবে। অন্যান্য রপ্তানি খাত যেভাবে সুযোগ-সুবিধা পায়, রিক্রুটিং এজেন্সিকেও সেই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে স্বল্প সুদে ঋণ, ট্রেনিং সেন্টারের জন্য জমি বরাদ্দসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিলে দক্ষ কর্মী পাঠানোর গতি আরও বাড়ানো যাবে। তাহলে গত বছর আমরা যে ২৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স অর্জন করেছি ভবিষ্যতে তা আরও বেড়ে ৩৫-৪০ বিলিয়ন ডলার করা সম্ভব।
নিরাপদ অভিবাসনের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর জন্য সরকার জন প্রতি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে ইনসেন্টিভ দেওয়ার কথা বিবেচনায় নিতে পারে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক প্রভাব, শ্রমিক অসন্তোষ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি নানা কারণে পোশাক রপ্তানি খাত সংকুচিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পাট, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য থেকে রপ্তানি আয় বাড়ানো যাচ্ছে না। তাই বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রবাসী আয়ই হবে আমাদের প্রধান ভরসা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শুভময় দত্ত, সিমস প্রজেক্ট হেলভেটাস বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল বাসার ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পরিচালক অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে ট্রফি ও সনদপত্রসহ যথাক্রমে নগদ এক লাখ ও ৭৫ হাজার ও শ্রেষ্ঠবক্তাকে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার হয়।
Posted ৯:১৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed