অনলাইন ডেস্ক | শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 77 বার পঠিত
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) গাজার সিভিল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, গাজা সিটির একটি ভবনে শুক্রবারের (২২ ডিসেম্বর) হামলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
তিনি জানান, নিতহদের মধ্যে রয়েছেন আল-মুগরাবি পরিবারের ১৬ সংসারের প্রধান, নারী ও শিশুরা। নিহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রবীণ কর্মী ইসাম আল-মুগরাবি, তার স্ত্রী ও তাদের পাঁচ সন্তান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান আচিম স্টেইনার বলেন, ইসাম এবং তার পরিবারের ক্ষতি আমাদের সবাইকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। জাতিসংঘ এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকরা কোন লক্ষ্য নয়। এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি শুক্রবার রাতে বলেন, সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণ দিকে মনোনিবেশ করে উপত্যকার অতিরিক্ত এলাকায় স্থল আক্রমণকে বিস্তৃত করছে। গাজা সিটিসহ গাজার উত্তরাঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, যা ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের প্রাথমিক কেন্দ্রবিন্দু।
শনিবার দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে হামাস যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা গত তিন সপ্তাহে প্রায় দুই হাজার সহ বহু হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করেছে, তবে তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। তারা বলছে, স্থল আক্রমণে তাদের ১৩৯ জন সৈন্য নিহত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা সীমান্ত অতিক্রম করে ১,২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করার পর ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করে। গাজায় হামাসকে ধ্বংস ও ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৩ হাজার আহত হয়েছে।
Posted ৭:২৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed