অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 136 বার পঠিত
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকে একুশে পদক-২০২৪ প্রদানের তালিকা প্রকাশ করে সরকার।
ঘোষিত একুশে পদক তালিকায় সমাজসেবায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫ নম্বরে রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিয়াউল হক। তার একুশে পদক পাওয়ায় আনন্দে ভাসছে পুরো জেলা। তিনি ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা।
জিয়াউল হক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব ফোন করে প্রথমে মনোনীত হওয়ার বিষয়টি জানান। এই পদক শুধু আমার একার নয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী এ জন্য গর্বিত। এই পদক আমার সমাজসেবাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রীয়ভাবে একুশে পদকের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি যোগাযোগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ কে এম গালীভ খানের সঙ্গে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যান। তৎকালীন ইউএনও তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এরপরেই ২০২৪ সালের ২১ পদকের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে জেলায় ঘুরে ঘুরে মাথায় করে দই বিক্রি করি। দই বিক্রির টাকা দিয়ে ১৯৬৯ সালে ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামে জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকেই আমার সমাজসেবা শুরু। এলাকার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদান, স্কুল-কলেজে বেতন দেয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দিয়ে আসছি। আমার মাধ্যমে শত শত মানুষ উপকৃত হচ্ছে। যত দিন বেঁচে থাকব, মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
১৯৩৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামামুশরীভূজা গ্রামের এক অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন জিয়াউল হক। এক পর্যায়ে শুরু করেন দই বিক্রি।
এদিকে ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেয়েছেন এই পদক। এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে এবার একুশে পদক পেয়েছেন চার জন।
Posted ১১:১২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed