অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 92 বার পঠিত
দিন দিন জীবন জটিল হচ্ছে, নানামাত্রিক চাপে পড়ছে মানুষের মন। মনের কাজ চিন্তা করা কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত মন অতিরিক্ত চিন্তা করে। এখন তাই ‘ওভারথিংকিং’ শব্দটি বেশ পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা আমাদের মানসিক চাপ তৈরি করে। অতিরিক্ত চিন্তা দূর করে মনকে শান্ত করার কিছু প্রাচীন জাপানি কৌশল রয়েছে। এগুলো জেনে বাস্তবায়ন করলে পেতে পারেন অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি
শোগোনাই
শোগোনাই ধারণাটি সহজ করে বলতে গেলে এর মানে হয়, ‘কিছু করার নেই’। এর মানে হতাশ হয়ে সব শেষ বলে দেওয়া নয় বরং যা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, আপনার সাধ্যের মধ্য নেই তা মেনে নেওয়ার ইতিবাচক মানসিকতা। যখন আমরা মেনে নিতে পারি, অতিরিক্ত চিন্তা অতীতের ঘটনাগুলোকে পরিবর্তন করবে না বা ভবিষ্যতের ফলাফলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করবে না, তখন মানসিক দৃঢ়তা শিথিল হয়ে যায়। ‘যদি এমন হতো’ বাদ দিয়ে আমরা যখন ভাববো যা হয়ে গেছে, তা গেছে, তাহলে অতিরিক্ত চিন্তা আসবে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে বর্তমান সময়টা, আমাদের কর্মকাণ্ড এবং আমাদের আচরণ।
শিরিন-ইয়োকু
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক জগতের শান্ত পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যান। ‘শিরিন-ইয়োকু’ বা ‘ফরেস্ট বাথিং’ হল আমাদের ডিজিটাল প্রাণহীন জটিলতা থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সতেজ শ্বাস গ্রহণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজের মধ্যে সময় কাটালে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। ফলে মন শান্ত হয় এবং শান্ত চিন্তার পরিবেশ তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত চিন্তা আসলে পার্কে হাঁটাহাঁটি করুন বা তাজা বাতাসে শ্বাস নিন। দেখবেন ঝরঝরে পাতাগুলো আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে।
নেনবুতসু
অনেকটা তসবি জপা কিংবা ‘ওম’ শব্দে ধ্যান করার মতো ব্যাপার নেনবুতসু। আসলে এরকম শব্দগুলো বার বার জপলে একধরণের মৃদু তরঙ্গ তৈরি হয়, তাই মন স্থির হয়, অতি চিন্তার ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসা যায়। যার কারণে আপনার অতীতের চিন্তা মাথা থেকে দূর হবে। আর বর্তমান কাজে মনোযোগ আসবে। উচ্চস্বরে বা নীরব, যেভাবেই হোক নেনবুতসু অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং মানসিক স্থিরতার জন্য একটি উপকারী প্রক্রিয়া।
জাজেন
বসে ধ্যান করার অনুশীলন হল ‘জাজেন’। যা আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো পর্যবেক্ষণ করে অতিরিক্ত চিন্তা ও মানসিক চাপকে কমিয়ে দেয়। এই ধ্যান আমদের অতিরিক্ত চিন্তাভাবনাকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে ফেলে। তাই মনকে শান্ত করতে জাজেন করতে পারেন।
ওয়াবি-সাবি
ব্যতিক্রমী নন্দনচর্চা ‘ওয়াবি-সাবি’ যা অগোছালো, অপূর্ণতাকে স্বীকার করে সিম্পল-সাদামাটা বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিতে শেখায়। এই দর্শন মনকে বিশালতায় নিয়ে যায়, যা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির জোয়ার-ভাটাকে গ্রহণ করে নেয় খুব সহজে, মনে আনে প্রশান্তি। ওয়াবি-সাবি অপূর্ণতাকে মেনে নিতে শেখায়, তাই পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকাশের মতো অতিচিন্তা থেকে মনকে মুক্ত রাখে।
Posted ৫:৩৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed